নিজস্ব প্রতিনিধি, বালেশ্বর: তিনি দিব্যি বেঁচে রয়েছেন। হেঁটে চলে বেড়াচ্ছেন। অথচ তাঁকে করমণ্ডল দুর্ঘটনায় মৃত দেখিয়ে ওড়িশা সরকারের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণের পাঁচ লক্ষ টাকা আদায়ের চেষ্টা চালাচ্ছিলেন স্ত্রী। আর তা জানতে পেরেই চটে গিয়ে অর্থলোভী স্ত্রীর বিরুদ্ধে পুলিশে নালিশ ঠুকেছেন কটকের মানিয়াবান্ধা গ্রামের বাসিন্দা বিজয় দত্ত। পুলিশে অভিযোগ দায়েরের পরেই গ্রেফতারের আশঙ্কায় গা ঢাকা দিয়েছেন প্রতারণায় অভিযুক্ত স্ত্রী গীতাঞ্জলি দত্ত।
গত শুক্রবার বালেশ্বরের বাহানাগা বাজার স্টেশনের কাছে ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেস। দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ২৮৮ জন প্রাণ হারিয়েছেন। আহত হয়েছেন ৯০০’র বেশি। দুর্ঘটনায় মৃত রাজ্যের বাসিন্দাদের পাঁচ লক্ষ টাকা আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক। ওই ঘোষণার পরেই ক্ষতিপূরণ হাতাতে আসরে নামেন কটকের মানিয়াবান্ধার বাসিন্দা গীতাঞ্জলি দত্ত। তিনি দাবি করেন, ‘তাঁর স্বামী বিজয় দত্ত করমণ্ডল দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন।’ এমনকী স্বামীর মৃতদেহ শনাক্তও করেন।
এর পরেই ঘটনা অন্যদিকে মোড় নেয়। জমা পড়া নথিপত্র দেখেই সন্দেহ হয় সরকারি আধিকারিকদের। ভূযো দাবি করার জন্য গীতাঞ্জলি দেবীকে ডেকে সতর্কও করে দেন পুলিশ আধিকারিকরা। স্ত্রীর এমন অপকর্ম জানতে পেরে পুলিশের কাছে ছুটে যান গীতাঞ্জলির স্বামী বিজয় দত্ত। মানিয়াবান্ধা থানার ওসি বসন্ত কুমার শতপথি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, গত ১৩ বছর ধরে আলাদা থাকেন বিজয় দত্ত ও তাঁর স্ত্রী গীতাঞ্জলি। স্বামীকে মৃত দেখিয়ে পয়সা হাতানোর পরিকল্পনা নিয়েছিলেন স্ত্রী।