নিজস্ব প্রতিনিধি: ২০০০ টাকার নোট বদলের প্রথম দিনে দেশের একাধিক ব্যাঙ্কের বিরুদ্ধে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নির্দেশ অমান্য করার অভিযোগ উঠল। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল ২০০০ এর নোট বদলাতে পরিচয়পত্র বা কোনও ফর্ম জমা দেওয়ার প্রয়োজন নেই। কিন্তু নোট বদলের প্রথম দিনেই রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নির্দেশ অমান্য করে মানুষের কাছ থেকে ফর্ম ও পরিচয়পত্র চাওয়ার অভিযোগ উঠল ব্যঙ্ক অফ বরোদা, এইচএসবিসি (HSBC) এবং ফেডারেল ব্যাঙ্ক-সহ দেশের একাধিক ব্যাঙ্কের বিরুদ্ধে। যা নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
উল্লেখ্য মানুষকে হয়রানির মুখে ঠেলে দিয়ে ২০১৬ সালে নোটবন্দির ঘোষণা করেছিল মোদি সরকার। সেই সিদ্ধান্তের পর নোট বদলাতে লাইনে দাঁড়িয়ে অসুস্থ হয়ে মৃত্যু হয়েছিল বহু মানুষের। বিভীষিকাময় সেই সময় আজও তাড়া করে বেড়ায় দেশের দরিদ্র খেটে খাওয়া মানুষকে। সেই ঘটনার ৭ বছর পর ফের নোটবন্দির ঘোষণা দিয়েছে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদির সরকার। যদিও এবারে শুধু ২০০০ টাকার নোট বাতিলের ঘোষণা দিয়েছে কেন্দ্র। মঙ্গলবার, ২৩ মে থেকে সেই নোট বদল শুরু হয়েছে। নোট বদলাতে গিয়ে ব্যাঙ্কে হয়রানির শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ।
অভিযোগ, ২০০০ টাকার নোট বদলাতে গেলে ব্যাঙ্কের তরফে পরিচয়পত্র চাওয়া হচ্ছে। ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট নেই এমন ব্যক্তিদের কাছ থেকে কোটাক ব্যাঙ্ক নোট বদলানোর জন্য ফর্ম/আইডি প্রুফ চাইছে। এইচএসবিসি (HSBC), ব্যাঙ্ক অফ বরোদা এবং ফেডারেল ব্যাঙ্ক (Federal Bank) ব্যাঙ্কও নন-অ্যাকাউন্ট হোল্ডারদের কাছ থেকে পরিচয়পত্র চাইছে। আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের তরফে জানানো হয়েছে, টাকা বদলাতে সবাইকে ফর্ম পূরণ করতে হবে। সেই সঙ্গে যাদের অযাকাউন্ট নেই তাদেরকে পরিচয়পত্র জমা দিতে হবে।
উল্লেখ্য আরবিআই এর তরফে আগেই জানানো হয়েছিল, আগামী ২৩ মে থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত যে কোনও ব্যাঙ্কের যে কোনও শাখায় জমা দেওয়া কিংবা বদলানো যাবে ২০০০ টাকার নোট (2000 note exchange)। একসঙ্গে ১০টি নোট, অর্থাৎ সর্বোচ্চ কুড়ি হাজার টাকা পর্যন্ত জমা দেওয়া যাবে বলে জানানো হয়েছিল। শুধু তাই নয় টাকা বদলাতে গেলে সচিত্র পরিচয়পত্র বা ফর্ম পূরণ করতে হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক।