নিজস্ব প্রতিনিধি : ৯৫ বছর পূর্ণ করে ৯৬ তে পা রাখলেন ‘লৌহপুরুষ’ লালকৃষ্ণ আদবানি। জন্মদিনে প্রবীণ এই নেতাকে শুভেচ্ছা জানাতে তাঁর বাড়ি পৌঁছে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পরে টুইট করে দল ও দেশের জন্য আদবানির অবদান তুলে ধরে প্রশংসায় ভরিয়ে দেন তিনি। যদিও মোদি বিজেপির মুখ হয়ে ওঠার পর রাজনীতি থেকে ক্রমশ নিজেকে গুটিয়ে নেন আদবানি।
১৯৮৪ সালে মাত্র দুটি আসন। সেখান থেকে ক্ষমতা দখল। বাজপেয়ী-আদবানি জুটির হাত ধরেই ভারতীয় জনতা পার্টি গোটা দেশে কংগ্রেসের মৌরসিপাট্টা ভেঙে দেয়। রাম মন্দির আন্দোলনে আদবানিই নেতৃতে দেন। তাঁর জেরেই ৯৯ সালে ক্ষমতা দখল করে বিজেপি। অটলবিহারী বাজপেয়ী প্রধানমন্ত্রী হলে উপপ্রধানমন্ত্রী হন আদবানি। নরেন্দ্র মোদি তখন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী। বিজেপি বলতে তখন বাজপেয়ী-আদবানিকেই বোঝাত। ২০০৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি পরাজিত হলেও সক্রিয় ভাবে রাজনীতিতে থেকে গিয়েছিলেন আদবানি। এমনকী ২০১৪ সালে লোকসভা ভোটের আগে তাঁকেই সম্ভাব্য প্রধানমন্ত্রীর মুখ হিসাবে ভাবা হচ্ছিল। কিন্তু বিজেপি শেষমেশ নরেন্দ্র মোদিকেই প্রধানমন্ত্রী হিসাবে তুলে ধরে। মোদি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর ধীরে ধীরে তিনি ও অমিত শাহ দলের ক্ষমতা দখল করে নেন। রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, দলের ক্ষমতা পেয়েই লালকৃষ্ণ আদবানি, মুরলি মনোহর জোশীর মতো প্রবীণ নেতাদের কোণঠাসা করা হতে থাকে। এঁদের দলের পদ থেকে ছেঁটে দিয়ে মার্গদর্শক মণ্ডলীতে নিয়ে আসা হয়। এরপরই রাজনীতি থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন আদবানি। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, কৌশলে আদবানির মতো হেভিওয়েট নেতাকে দলের পদ থেকে সরিয়ে দিয়ে নিজের জায়গাকে নিষ্কণ্টক করেছেন মোদি।
এদিন টুইটে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘দেশের উন্নতির জন্য পাহাড়প্রমাণ অবদান রেখেছেন আদবানি। গোটা দেশ তাঁকে সম্মান করে তাঁর মেধা ও দৃষ্টিভঙ্গীর জন্য। দলের শক্তি বাড়াতে তাঁর ভূমিকা অতুলনীয়’। মোদির সঙ্গে গিয়েছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। তিনিও আদবানিকে টুইটে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। এর পাশাপাশি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডাও টুইটে প্রাক্তন উপপধানমন্ত্রীকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন।