নিজস্ব প্রতিনিধিঃ চলতি সপ্তাহেই রহস্যজনকভাবে ভারতের ফিলিস্তিনি দূতাবাস থেকে উদ্ধার হয়েছে ভারতীয় রাষ্ট্রদূত মুকুল আর্যের মৃতদেহ। ফিলিস্তানের রামাল্লায় তাঁর অফিসেই তাঁকে সোমবার সকালে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তবে ঠিক কি কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছিল সেটা এখনও স্পষ্ট নয়। ফলে ইতিমধ্যেই মুকুল আর্যের মৃত্যু নিয়ে ঘনীভূত হয়েছে রহস্য। এর মধ্যেই ছেলের মৃত্যু রহস্য উদ্ধারে নতুন ময়নাতদন্তের দাবিতে আদালতের দ্বারস্থ হলেন মৃত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত মুকুল আর্যের মা। জানা যাচ্ছে বুধবারই মুকুল আর্যের মা দিল্লি আদালতে জানিয়েছেন, ৭ মার্চ সোমবার সকালে তাঁর ছেলের মৃতদেহ খুবই রহস্যজকভাবে উদ্ধার হয়েছে। ফলে তাঁর ছেলের মৃত্যুর আসল কারণ খুঁজে বের করার জন্য নতুন করে একটি ময়নাতদন্ত করা হোক।
জানা যাচ্ছে, বুধবার দিল্লি আদালতে মুকুল আর্যের মা দাবি করেছেন যে, তাঁর ছেলের মৃত্যুর আসল কারণ খুঁজে বের করতে নতুন করে ময়নাতদন্ত করা হোক এবং সেই ময়নাতদন্ত করবেন অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্সেস তথা এইমসের চিকিৎসকদের একটি বিশেষ দল। এই বিষয়ে অবিলম্বে এইমসের চিকিৎসকদের নিয়ে একটি প্যানেল গঠন করা হোক। সেই সঙ্গে মুকুল আর্যের পরিবারের আইনজীবী আরও জানান যে, তাঁরা এই মুহূর্তে মুকুল আর্যের মৃত্যুর তদন্ত নিয়ে আলাদা করে কোনও চাপ সৃষ্টি করতে চাইছেন না। তবে নতুনভাবে ময়নাতদন্ত করে সেই তদন্তের একটি ভিডিও ক্লিপ যদি পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয় তাহলেই তাঁরা সন্তুষ্ট থাকবেন।
জানা যাচ্ছে মুকুল আর্যের এই আবেদন প্রসঙ্গে বিচারপতি রজনীশ ভাটনাগর তাঁর আদেশে বলেছেন, ‘ এই মুহূর্তে মামলার ঘটনা ও পরিস্থিতির দিকে তাকিয়ে ময়নাতদন্তের ভিডিওগ্রাফ করা হোক এবং সেটাকে রেকর্ডের একটি অংশ করা হোক।’
উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে ইন্ডিয়ান ফরেন সার্ভিসে যোগ দেন মুকুল আর্য এবং ফিলিস্তিনের রামাল্লাতে ভারতের রাষ্ট্রদূত হিসাবে নিযুক্ত হন ২০২১ সালের এপ্রিল মাসে। সোমবার ৭ মার্চ তাঁকে ফিলিস্তিনের দূতাবাস থেকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। ফিলিস্তিন দূতাবাসের রিপোর্ট অনুযায়ী, মুকুল আর্য মাত্র ৩৭ বছর বয়সে হার্ট অ্যাটাকে মারা গিয়েছেন। কিন্তু ফিলিস্তিনি দূতাবাসের জানানো মৃত্যুর কারণ মানতে নারাজ মুকুলের পরিবার। তাই তাঁরা নতুন করে ময়নাতদন্তের দাবি জানিয়ে বুধবার দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন।