এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

প্রশ্নের মুখে মোদির GST, আয় কমেছে কেন্দ্র ও রাজ্যগুলির

নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজ্য সরকারগুলির কোনও রকম অভিমত না নিয়েই দেশে একরকম জোর করেই চালু করে দেওয়া হয়েছে GST। প্রথম থেকেই এই কর আদায়ের পদ্ধতি ঘিরে গুচ্ছ গুচ্ছ প্রশ্ন উঠতে শুরু করে দিয়েছিল। শুধু তাই নয়, এই পদ্ধতির জেরে ব্যবসায়ীদের যেমন বড়সড় ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে তেমনি রাজ্য সরকারগুলিও ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এবার এই GST নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিল খোদ একটি কেন্দ্রীয় সংস্থা। National Institute of Public Finance and Policy চলতি এপ্রিল মাসেই তাঁরা একটি রিপোর্ট পেশ করেছে। সেখানে বলা হচ্ছে, আগে দেশের অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বা GDP’র নিরিখে যে হারে রাজস্ব আদায় হতো, GST জমানায় তা কমে গিয়েছে। শুধু কেন্দ্র নয়, রাজ্যগুলির ক্ষেত্রে পর্যন্ত একই কথা প্রযোজ্য।

আরও পড়ুন লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে বছরে খরচ ১৩ হাজার ২০০ কোটি

দেশে GST ব্যবস্থা চালু হয় ২০১৭ সালের ১ জুলাই। এর আগে রাজ্যগুলি বিভিন্ন খাতে যে কর আদায় করত, তার প্রায় সবটুকু চলে আসে এই নয়া করের আওতায়। তালিকায় ছিল কেন্দ্রের বেশ কিছু ট্যাক্সও। চলতি মাসে GST ও GDP সম্পর্কিত যে রিপোর্টটি National Institute of Public Finance and Policy প্রকাশ করেছে, সেখানে আলোচনার মূল বিষয়বস্তু শুধু এই করগুলিই। GST’র আওতার বাইরে থাকা কর বা সেস এর অন্তর্ভুক্ত নয়। রিপোর্টে GST প্রথা চালুর আগের সময় হিসেবে ধরা হয়েছে ২০১২-১৩ থেকে ২০১৬-১৭ অর্থবর্ষ পর্যন্ত। তার সঙ্গে তুলনা চলেছে GST চালুর পরবর্তী পাঁচ বছরের। আর তাতেই সামনে চলে এসেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির(Narendra Modi) ‘সাধের’ করব্যবস্থার আসল ছবিটা। দেখা যাচ্ছে রিপোর্ট অনুযায়ী, GDP চালুর আগে রাজ্যগুলির কর আদায়ের হার ছিল GDP’র ৩.২ শতাংশ। GDP জমানায় তা কমে ২.৬২ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। State GST এবং Integreated GST বাবদ মোট আদায়ের হিসেবেই কষা হয়েছে এই অঙ্ক।   

আরও পড়ুন অমর্ত্যের হয়রানি ‘ভারতের লজ্জা’, অভিমত কৌশিক বসুর

Central GST’র ক্ষেত্রে আবার দেখা যাচ্ছে GST চালুর আগে কেন্দ্রীয় কর বাবদ আদায় ছিল GDP’র ৩.১১ শতাংশ। তা গত পাঁচ বছরে কমে দাঁড়িয়েছে ২.৪৬ শতাংশে। যদিও নানা পরিসংখ্যান বলছে GST আদায় বেড়েছে দেশে। তালিকায় প্রথম সারিতে বেশ কিছু রাজ্য। তাদের মধ্যে অন্যতম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) বাংলা। কিন্তু দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক অবস্থার নিরিখে জিএসটি আদায় মোটেও আশাব্যঞ্জক নয়। কেন? সামগ্রিকভাবে দেখলে GST’র এই পতন ধরা পড়ে না। কারণ, বর্তমানে সারা দেশে সামগ্রিকভাবে যে GST আদায় হয়, তা GDP’র ৬.১৬ শতাংশ। ২০১৭ সালের ১ জুলাইয়ের আগে তা ছিল ৬.১৩ শতাংশ। অর্থাৎ বৃদ্ধির হার সামান্য বেশি। কেন্দ্রীয় সংস্থাটির দাবি, এই হিসেবের মধ্যে ধরা আছে পণ্য আমদানি ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের GST সংক্রান্ত হিসেব। দ্বিতীয়ত, রাজ্যগুলিকে পাঁচ বছর ধরে GST বাবদ ক্ষতিপূরণ দিতে হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারকে। এসব যদি বাদ দেওয়া হয়, তাহলে সামগ্রিক ক্ষেত্রেও GST জমানায় GDP’র নিরিখে আদায়ের হার কমে যাবে।

আরও পড়ুন ৮ লক্ষ গোষ্ঠীকে ২১ হাজার কোটি টাকা ঋণ প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা

রিপোর্টে আরও দাবি করা হয়েছে, কোভিড পরবর্তী পরিস্থিতিতে গোটা দেশে GST আদায় বৃদ্ধির অন্যতম কারণ—মূল্যবৃদ্ধি। বেশি দামে যেহেতু মানুষ জিনিস কিনেছেন, তাই সেই অনুপাতে GST ও মেটাতে হয়েছে বেশি করে। ডিরেক্টরেট জেনারেল অব জিএসটি ইন্টেলিজেন্সের তথ্য অনুযায়ী, গত অর্থবর্ষে GST ফাঁকির পরিমাণ ১ লক্ষ ১ হাজার কোটি টাকারও বেশি। তার আগের বছরের তুলনায় যা দ্বিগুণেরও বেশি। বিরোধীদের অভিযোগ, যথাযথভাবে পরিকাঠামো না গড়ে, হুড়োহুড়ি করে GST’র চালুর দায় মেটাতে হচ্ছে দেশকে।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

দিনমজুরের কাজ করে সংসার চালান ‘পদ্মশ্রী’ দর্শনম মোগুলাইয়া

রায়বরেলি-অমেথিতে কংগ্রেসের প্রচারের নেতৃত্বে প্রিয়াঙ্কা

অক্ষয় তৃতীয়ার আগে সস্তা সোনা, আশায় বুক বাঁধছেন ক্রেতারা

কাসভের গুলিতে মারা যাননি হেমন্ত কারকারে, বিস্ফোরক দাবি কংগ্রেস নেতার

রাজস্থানে ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ৬ জনের মৃত্যু

মহারাষ্ট্রে কংগ্রেসের তারকা প্রচারকের তালিকায় রাহুল- সোনিয়া

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর