নিজস্ব প্রতিনিধি: নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের(Amartya Sen) প্রতি বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়(Viswa Bharati University) এবং সেখানকার উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর(Bidyut Chakrabarty) অনুগত বাহিনী যেভাবে ব্যবহার করছে তা নিয়ে দেশের বুদ্ধিজীবী মহল ও শিক্ষাবিদদের একাংশ আগেই সরব হয়েছিলেন। সরব হয়েছিলেন বিশ্বভারতীর প্রাক্তনীরাও। কিন্তু তাঁদের বিরোধিতা, প্রতিবাদকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বিদ্যুতবাহিনী উঠেপড়ে লেগেছগে শান্তিনিকেতনে(Shantiniketan) থাকা অমর্ত্যের পৈতৃক বাড়ি ‘প্রতীচী’(Pratichi) থেকে তাঁকে উচ্ছেদ করতে। সব থেকে আশ্চর্যের বিষয় গোট ঘটনা নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটে আছেন পদাধিকারবলে বিশ্বভারতীর আচার্য পদে অধিষ্ঠীত দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি(Narendra Modi)। এবার সেই ঘটনায় সরব হলেন দেশের প্রাক্তন অর্থনৈতিক উপদেষ্টা কৌশিক বসু(https://www.eimuhurte.com/wp-content/uploads/2021/09/Moinul-Block-1.jpg Basu)। শনি সন্ধ্যায় তিনি ট্যুইট করে অমর্ত্যের এই ‘হয়রানি’র বিরুদ্ধে সরব হন এবং সাফ জানান তাঁর প্রতি এই ব্যবহার কার্যত ‘ভারতের লজ্জা’।
আরও পড়ুন লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে বছরে খরচ ১৩ হাজার ২০০ কোটি
অমর্ত্য সেনকে তাঁর শান্তিনিকেতনের বাড়ির ১৩ ডেসিমাল জমি খালি করার যে নির্দেশ দিয়েছে বিশ্বভারতী। তার তীব্র নিন্দা করে নিজের শিক্ষক অমর্ত্যের পাশে দাঁড়িয়েছেন অর্থনীতিবিদ কৌশিক বসু। তাঁর ট্যুইট, ‘অমর্ত্য সেনকে বিশ্বভারতী যা হয়রান করছে ও যে ভাবে উচ্ছেদের নোটিস দেওয়া হয়েছে, তা ভারতের লজ্জা! উনি ভারতের নাগরিক এবং বিশ্বের আইকন। অমর্ত্যের সমালোচনামূলক দৃষ্টিভঙ্গির জন্যই যে বিশ্বভারতী এই কাজে নেমেছে, তাতে কোনও সন্দেহ নেই। এই ঘটনা ভারতীয় গণতন্ত্রের পক্ষে লজ্জার।’ বিজেপি তথা মোদী সরকারের নানা কার্যকলাপের কড়া সমালোচক অমর্ত্য সেনকে নানা ঘটনায় বরাবরই গেরুয়া শিবিরের আক্রমণের মুখোমুখি হতে হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ বিশ্বভারতী যে ভাবে জমি-বিতর্কে তাঁকে নোটিস পাঠিয়েছে, তাতেও সেই ছায়া দেখা গিয়েছে বলে আগেও বিশ্বভারতীর শিক্ষক, পড়ুয়া ও আশ্রমিকেরা অভিযোগ তুলেছেন। এ বার তাঁর ছাত্র কৌশিক বসুও একই অভিযোগ তুললেন। কংগ্রেসের তরফেও অভিযোগ তোলা হয়েছিল মোদি ও বিজেপির সমালোচনা করার জন্যই অমর্ত্যকে এভাবে হেয় করা হচ্ছে।