নিজস্ব প্রতিনিধিঃজোরকদমে চলছে ‘ভারত জোড় ন্যায় যাত্রা’ –র প্রস্তুতি। এরমাঝেই এল দুঃসংবাদ। কারণ, মণিপুরের সীমান্তবর্তী শহর মোরেহে নতুন করে সহিংসতার ছায়া পড়েছে কংগ্রেস দলের পরিকল্পিত দেশব্যাপী পদযাত্রা ‘ভারত জোদো ন্যায় যাত্রা’র ওপর। তাই মণিপুরের সরকার এখনও এই অনুষ্ঠানের অনুমতি দেয়নি। এই নিয়ে মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিং বলেছেন, নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলার জন্য দায়ী সশস্ত্র কর্মীদের ধরতে আসাম রাইফেলস, বিএসএফ এবং রাজ্য পুলিশের যৌথ প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। মণিপুর জুড়ে শুরু হয়েছে ‘চিরুনি অভিযান”। রাহুলের ‘ভারত জোড় ন্যায় যাত্রা’ নিয়ে রাজনাথ সিং বলেন, “রাহুল গান্ধীর সমাবেশের অনুমতি দেওয়ার বিষয়টি সক্রিয়ভাবে বিবেচনাধীন রয়েছে। আমরা বিভিন্ন নিরাপত্তা সংস্থার কাছ থেকে রিপোর্ট নিচ্ছি। তাদের কাছ থেকে রিপোর্ট পাওয়ার পর আমরা একটি সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত নেব ।‘
কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে জানিয়েছেন, আগামী ১৪ জানুয়ারি মণিপুর থেকে শুরু হতে যাওয়া কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’। দেশের মৌলিক সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ইস্যু হল এই যাত্রার মূল লক্ষ্য। এদিন খাড়গে ভারত জোডো ন্যায় যাত্রার লোগো এবং ট্যাগলাইন প্রকাশ করেছে। এই যাত্রার ট্যাগলাইন হল “ন্যায় কা হক মিলনে তাক”। এই পদযাত্রাটি মোট ৮৫টি জেলা জুড়ে হবে। ১৪ জানুয়ারি থেকে ৬,২০০ কিলোমিটার পর্যন্ত ‘ভারত জোড় ন্যায় যাত্রা’ শুরু করবেন রাহুল গান্ধী ।
রাহুলের এমন যাত্রা এই প্রথম নয় এরআগেও ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ করে বিপুল জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন। টানা পাঁচ মাস ধরে ভারত জোড়ো যাত্রা করে কন্যাকুমারী থেকে কাশ্মীর পর্যন্ত পায়ে হেঁটে গিয়েছিলেন কংগ্রেস নেতা। এই যাত্রার জেরেই কর্ণাটক এবং তেলেঙ্গানায় বিধানসভা নির্বাচনে জয়লাভ করেছে কংগ্রেস। তাই এবার লোকসভা নির্বাচনের আগে ‘ভারত জোড় ন্যায় যাত্রা’ শুরু করতে চলেছে রাহুল। এই যাত্রা শেষ হবে ২০ মার্চ মুম্বইয়ে।