নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: রিজার্ভ ব্যাঙ্কের শাস্তির মুখে পড়ে আগেই সরে গিয়েছিলেন পেটিএম পেমেন্টস ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান বিজয়শেখর শর্মা। আর মঙ্গলবার ইস্তফা দিলেন ব্যাঙ্কের মুখ্য নির্বাহী আধিকারিক (সিইও) তথা ম্যানেজিং ডিরেক্টর সুরিন্দর চাওলা। যদিও ব্যাক্তিগত কারণেই তিনি ইস্তফা দিয়েছেন বলে দাবি পেটিএম পেমেন্টস ব্যাঙ্কের মূল সংস্থা ওয়ান ৯৭ কমিউনিকেশনস।
২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর দেশে নোটবন্দির পরেই পোয়াবারো হয়েছিল পেটিএমের। ডিজিটাল লেনদেনের উপরে সাধারণ মানুষ ঝোঁকায় ব্যবসা রমরমা করে বেড়ে চলেছিল বিজয়শেখর শর্মার সংস্থার। যদিও ব্যবসা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে একাধিক অভিযোগও উঠতে থাকে পেটিএমের বিরুদ্ধে। আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের বেঁধে দেওয়া নিয়ম ও শর্তাবলী লঙ্ঘনের অভিযোগ ওঠে। গত ফেব্রুয়ারি মাসে নিয়ন্ত্রণ বিধি লঙ্ঘনের দায়ে পেটিএম পেমেন্টস ব্যাঙ্কের লেনদেনের উপরে একাধিক নিষেধাজ্ঞা জারি করে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা জমা নেওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের তরফে জানানো হয়, পেটিএম পেমেন্টস ব্যাঙ্কের বহু অ্যাকাউন্টের গ্রাহকদের কেওয়াইসি নেই। ফলে ওই অ্যাকাউন্টের আসল মালিক কারা তা নিয়ে সংশয় থাকছে। কেওয়াইসি না থাকার সুবাদে ওই অ্যাকাউন্টগুলি থেকে টাকা পাচারের সুযোগও রয়েছে। এমন এক হাজার অ্যাকাউন্টের হদিশ পাওয়া গিয়েছে যেখানে একই প্যান নম্বর সংযুক্ত করা হয়েছে। অর্থাৎ ওই অ্যাকাউন্টগুলি যথেষ্টই সন্দেহজনক।
প্রথমে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তরফে জানানো হয়, ২৯ ফেব্রুয়ারি পেটিএম পেমেন্টস ব্যাঙ্কের পরিষেবা বন্ধ হবে। পরে অবশ্য বন্ধের সময়সীমা আরও ১৫ দিন পিছিয়ে দিয়েছিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। অর্থাৎ ১৫ মার্চ থেকে একাধিক পরিষেবা বন্ধ হয়েছে পেটিএম পেমেন্টস ব্যাঙ্কের। বিপাকে পড়েছেন কয়েক লক্ষ গ্রাহক। যদিও সাধারণ গ্রাহকদের সুবিধার জন্য পেটিএমের ইউপিআই পরিষেবা চালু রাখার অনুমতি দিয়েছিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। দেশের চার শীর্ষ ব্যাঙ্কের সঙ্গে গাঁটছাড়া বেঁধে ওই পরিষেবা চালিয়ে যাচ্ছে পেটিএম।