নিজস্ব প্রতিনিধি, জয়পুর: হিন্দুত্বের পোস্টার বয় হিসেবেই পরিচিত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সুযোগ পেলেই হিন্দু দেব-দেবীর থানে সাষ্টাঙ্গে মাথা ঠোকেন তিনি। তার পরে সেই ছবি ঘুরতে থাকে সমাজমাধ্যমে। বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা প্রধানমন্ত্রীর নামে জয়ধ্বনি তুলতে শুরু করেন। কিন্তু সেই হিন্দুত্বের পূজারি মোদি রাজস্থানের এক মন্দিরে পুজো দেওয়ার পরে খামে পুরে যে দক্ষিণা দানপাত্রে ফেলেছিলেন তাতে কত টাকা ছিল তা শুনে অনেকেরই চক্ষু চড়কগাছ হতে পারে।
চলতি বছরের ২৮ জানুয়ারি রাজস্থানের গুজ্জর সমাজের আরাধ্য দেবতা ভগবান দেবনারায়ণজির ১,১১১ অবতার বর্ষ উপলক্ষে ভিলওয়াড়ার গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সফরের সময়ে মালাসেরি ডুংরি মন্দির দর্শনও করেছিলেন। মন্দির পরিক্রমার পাশাপাশি যজ্ঞশালায় অনুষ্ঠিত বিষ্ণু মহাযজ্ঞে আহুতিও দিয়েছিলেন। এমনকি নিম গাছের চারাও পুঁতেছিলেন। মন্দিরে পুজো দেওয়ার পরে দানবাক্সে প্রণামীও রেখেছিলেন প্রধানমন্ত্রী।
দীর্ঘ ৯ মাস বাদে ওই দানবাক্স খুলেছে মন্দির কর্তৃপক্ষ। মোট তিনটি খাম মিলেছে। তার মধ্যে একটি খাম খোদ প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া। উৎসাহের সঙ্গেই ওই খাম খুলেছিলেন মন্দিরের পরিচালন সমিতির সদস্যরা। আর খাম খুলেই চক্ষু চড়কগাছ হওয়ার উপক্রম তাঁদের। কেননা, ওই খাম থেকে মিলেছে ২১ টাকা। হ্যাঁ, ঠিকই শুনেছেন। ২১ টাকা। একটি কড়কড়ে ২০ টাকার নোট এবং একটি এক টাকার কয়েন। বাকি দুটি খাম থেকে মিলেছে ১০১ টাকা এবং ২,১০০ টাকা। প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া প্রণামীর পরিমাণ জানাজানি হতেই শুরু হয়েছে রাজনীতি। কংগ্রেসের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, ভগবান দেবনারায়ণকে দর্শনের পরে মাত্র ২১ টাকা প্রণামী দিয়ে গোটা গুজ্জর সমাজকে অপমান করেছেন প্রধানমন্ত্রী।