নিজস্ব প্রতিনিধি, গুয়াহাটি: অরুণাচল প্রদেশ নিয়ে ফের নয়াদিল্লির সঙ্গে বেজিংয়ের সঙ্ঘাত তুঙ্গে উঠেছে। ইতিমধ্যেই অরুণাচলকে তিব্বতের দক্ষিণ অংশ হিসেবে দাবি করে ১১টি জায়গার নতুন নামকরণ করেছে শি চিনফিং সরকার। যদিও চিনের দাবি খারিজ করে দিয়েছে নয়াদিল্লি। দুই দেশের মধ্যে সঙ্ঘাতের মধ্যেই আগামিকাল যুদ্ধবিমান সুখোইয়ে সওয়ার হয়ে অরুণাচল প্রদেশের আকাশে চক্কর কাটবেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু।
শুক্রবার বায়ুসেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার সকালে অসমের তেজপুরের বায়ুসেনা ঘাঁটিতে পৌঁছবেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। তাঁকে স্বাগত জানাবেন বায়ুসেনার পূর্বাঞ্চলের প্রধান এয়ার মার্শাল এস পি ধরকর। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে থাকবেন অসমের রাজ্যপাল গুলাবচাঁদ কাটারিয়া ও মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক হিসেবে বায়ুসেনার ঘাঁটি ঘুরে দেখার পাশাপাশি যুদ্ধবিমান সুখোইয়ে সওয়ার হয়ে চিন, মায়ানমার, বাংলাদেশ ও ভূটান সীমান্ত সংলগ্ন আকাশে চক্কর কাটবেন তিনি। দেশের সীমান্ত অঞ্চলের নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণ করবেন।
উল্লেখ্য, রাষ্ট্রপতি হিসেবে এর আগে সুখোইয়ে সওয়ার হয়েছেন এপিজে আবদুল কালাম, প্রতিভা পাতিল ও রামনাথ কোবিন্দ। তবে তিন জনই পুণেতে অবস্থিত বায়ুসেনার ঘাঁটি থেকে সুখোইয়ে সওয়ার হয়েছিলেন। বর্তমান রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর তেজপুরের বায়ুসেনার ঘাঁটি থেকে সুখোইয়ে সওয়ার পিছনে মূলত চিনকে কড়া বার্তা দেওয়া মূল কারণ বলেই প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে।