নিজস্ব প্রতিনিধি: ‘আমাদের ভবিষ্যৎ ধ্বংস করবেন না। এখনও আপনার কাছে সুযোগ রয়েছে।’ কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে এমনই কাতর আবেদন করলেন ১৭ বছরের ক্যারেটে চ্যাম্পিয়ন আলিয়া আসাদি। তিনি কর্ণাটকের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাবের ওপর নিষেধাজ্ঞার বিরোধিতা করছেন।
বৃহস্পতিবার কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসভরাজ বোমাইয়ের কাছে আলিয়া আবেদন করেন, ‘আমাদের ভবিষ্যতকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য আপনার কাছে এখনও সুযোগ রয়েছে। আপনি এখনও আমাদের হিজাব পরে পরীক্ষায় বসার অনুমতি দিতে পারেন। আপনার কাছে অনুরোধ, দয়া করে বিষয়টি আর একবার বিবেচনা করুন। আমরাই দেশের ভবিষ্যৎ।’
কর্ণাটকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাব নিষিদ্ধ হওয়ার পর আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কয়েকজন। কিন্তু কর্ণাটক হাইকোর্ট রাজ্যের সিদ্ধান্তকেই মান্যতা দিয়েছে। এই প্রসঙ্গে কর্ণাটক হাইকোর্ট বলে, ইসলাম ধর্মালম্বী মহিলাদের জন্য হিজাব অপরিহার্য নয়।শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের যে নির্দিষ্ট পোশাক বিধি রয়েছে, তা সকলের মেনে চলা উচিত বলেও হাইকোর্টের তরফে জানানো হয়। কর্ণাটক হাইকোর্টের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন হিজাবের সমর্থকরা।
হাইকোর্টের রায়ের পরে কর্ণাটকের দ্বিতীয় পিইউ পরীক্ষা না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ৪০ জন মুসলিম ছাত্রী। এর আগে বেশ কয়েকজন মুসলিম ছাত্রী প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষা না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। অন্যদিকে, সুপ্রিম কোর্ট হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে জরুরি ভিত্তিতে শুনানির আবেদন খারিজ করে দেয়।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্ণাটক সরকার হিজাব নিষিদ্ধ করে দেওয়ার পর থেকে একের পর এক বিতর্কের সৃষ্টি হয়। প্রসঙ্গত, সেই নিষেধাজ্ঞার বিরোধিতা করে এক ছাত্রী হিজাব পরে গিয়েছিলেন। সেই সময় একদল কট্টর হিন্দু তাঁকে ঘিরে ‘জয় শ্রী রাম’ স্লোগান দেয়। পাল্টা ওই ছাত্রী ‘আল্লাহ আকবর’ বলেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে উঠেছিল দেশ।