নিজস্ব প্রতিনিধি: রাহুল গান্ধি ও কে সি বেণুগোপাল রাও-এর সঙ্গে দেখা করে পঞ্জাব প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদে রয়ে যান সিধু। এরপর পঞ্জাবের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চন্নি’র সঙ্গে দেখা করে মানভঞ্জন হয় নভজ্যোত সিং সিধুর। কিন্তু পঞ্জাবের উন্নয়নের জন্য ও আগামী বছরে বিধানসভা নির্বাচনে ভালো ফলাফল করার জন্য রবিবার কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধিকে একটি চিঠি লেখেন সিধু। সেই চিঠিতে পঞ্জাবের বর্তমান সমস্যা ও ১৩ দফা দাবি তুলে ধরেছেন পঞ্জাবের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি নভজ্যোত সিং সিধু।
তিনি সোনিয়াকে দেওয়া চিঠিতে জানিয়েছেন, ‘সবচেয়ে ধনী রাজ্য ছিল পঞ্জাব কিন্তু এখন ধুঁকছে অর্থনীতি। চাকরি নেই, ড্রাগ মাফিয়াদের রাজত্ব, কৃষকদের দুর্দশা এর মাঝে কেন্দ্রের কালো আইন, বালি মাফিয়া, মাটি মাফিয়া, অনগ্রসর জাতির জন্য কিছুই কাজ হয়নি, বিদ্যুৎ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে, পরিবহন ধুঁকছে। এইগুলি আগে ঠিক করতে হবে, সামনেই নির্বাচন এই বিষয়গুলিতে জোর দিতে হবে। এই ঘটনা গুলি নিয়ে ভাবুন। আর যত দ্রুত সম্ভব পঞ্জাব সরকারকে নির্দেশ দিন মানুষের জন্য কাজ করতে। আপনার আদর্শে ও নির্দেশে পঞ্জাবে আগামিদিনেও কংগ্রেস সরকার টিকে ঠাকবে।’
দীর্ঘ কিছু মাস ধরেই পঞ্জাবের কংগ্রেসের অন্দরেই চলছে টালবাহানা। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং-এর সঙ্গে বিরোধ নিয়ে শিরোনামে থাকতেন সিধু। তারপরেই সেই মুখ্যমন্ত্রী পদে চরণজিৎ সিং চন্নিকে বসিয়ে ও নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করে সিধুর লবির নেতাদের বাদ দেওয়া হয়। তারপরেই পঞ্জাবের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দেন নভজ্যোত সিং সিধু। কিন্তু বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চন্নি যখন জানান তিনি সিধুর সমস্ত মতামত শুনবেন ও সেটার উপর ভিত্তি করেই কাজ করবেন তখন সিধু ফের মূলশ্রোতে ফিরে আসেন।