নিজস্ব প্রতিনিধি, ভোপাল: স্বঘোষিত ‘মামা’ শিবরাজ সিং চৌহানের জমানায় মধ্যপ্রদেশ গোটা দেশের দুর্নীতির উৎসস্থল হয়ে উঠেছে। শনিবার ভোপালে দলের ‘জন আক্রোশ’ যাত্রা কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে এমনই অভিযোগ করেছেন রাহুল গান্ধি। তাঁর কথায়, ‘ব্যাপম কেলেঙ্কারি থেকে মহাকাল করিডর নির্মাণ-সব ক্ষেত্রেই দুর্নীতি হয়েছে। শাসকদলের লোকেরা লুঠতরাজ চালিয়ে শ’য়ে-শ’য়ে কোটি টাকা লুঠেছেন। গোটা দেশের দুর্নীতির উৎসস্থল হয়ে উঠেছে মধ্যপ্রদেশ।’
চলতি বছরের শেষের দিকে মধ্যপ্রদেশ বিধানসভার ভোট। আর ওই ভোট ঘিরে ইতিমধ্যেই জনাদেশ নিজেদের অনুকূলে আনতে আসরে নেমে পড়েছেন প্রধান দুই যুযুধান শিবির কংগ্রেস ও বিজেপি নেতৃত্ব। একাধিক জনমত সমীক্ষায় ইতিমধ্যেই ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে, ক্ষমতা থেকে বিদায় নিতে চলেছে বিজেপিন সরকার। আর ওই জনমত সমীক্ষার পরে অনেকটাই উজ্জীবিত হয়ে পড়েছেন কংগ্রেস নেতা-কর্মী-সমর্থকরা।
এদিন ভোপালে দলের ‘জন আক্রোশ’ যাত্রায় অংশ নিয়ে প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধি রাজ্যের বর্তমান বিজেপি সরকারকে নিশানা করতে গিয়ে কৃষক মৃত্যুর প্রসঙ্গও উত্থাপন করেন। তাঁর অভিযোগ, ‘গত ১৮ বছরে রাজ্যে ১৮ হাজার কৃষক আত্মহত্যা করেছেন। প্রতিদিন গড়ে তিন জন করে কৃষক আত্মহত্যা করছেন। ওই আত্মহত্যা বন্ধে কোনও পদক্ষেপ নেয়নি বিজেপি সরকার। এমনকি কৃষকরা তাঁদের রক্ত জল করে ফলানো ফসলের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন না।’ এ প্রসঙ্গে পড়শি রাজ্য ছত্তিশগড়ের কংগ্রেস সরকার কীভাবে কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়েছেন তা উল্লেখ করে রাহুল বলেন, ‘আমরা যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম, ছত্তিশগড়ে সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করা হয়েছে। কৃষকরা ফসলের ন্যায্যমূল্যই শুধু পাচ্ছেন না। অনেকেই আজ সরকারকে করও দিচ্ছেন।’
এদিনের সভা থেকে ফের জাতিগত জনগণনার পক্ষেও সওয়াল করেছেন রাহুল। তাঁর কথায়, ‘এদেশে প্রকৃত কত সংখ্যক দলিত, ওবিসি রয়েছেন তা জিজ্ঞেস করে কারও কাছ থেকে সুস্পষ্ট কোনও জবাব পাইনি। আমরা কেন্দ্রে সরকার গঠন করার পরে প্রথমেই যে সিদ্ধান্ত নেব তাহল জাতিগত জনগণনা।’