নিজস্ব প্রতিনিধি, মুম্বই: হাতে রয়েছে আর মাত্র ২৯ দিন। চলতি মাসের ৩০ তারিখের পরে অচল হতে চলেছে ২০০০ টাকার নোট। কিন্তু এখনও বাজারে সাত শতাংশের মতো ২০০০ টাকার নোট ঘোরাফেরা করছে। গত এক মাসে মাত্র ৫ সতাংশ নোট বিভিন্ন ব্যাঙ্কে জমা পড়েছে। ফলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ২,০০০ টাকার সব নোট ফেরত আসবে কিনা তা নিয়ে যথেষ্টই সন্দিহান রিজার্ভ ব্যাঙ্কের শীর্ষ আধিকারিকরা।
গত ১৯ মে রাতারাতিই দেশ থেকে ৩ লক্ষ ৬২ হাজার কোটি টাকা মূল্যের ২,০০০ টাকার নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। ২০১৬ সালে আচমকাই নোটবন্দির সিদ্ধান্ত নিয়ে দেশঅএর কোটি-কোটি মানুষকে ব্যাঙ্কের সামনে লাইনে দাঁড় করিয়ে দেওয়ার মূলপাণ্ডা তথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘বিশ্বস্ত অনুচর’ হিসেবে পরিচিত শক্তিকান্ত দাসের ওই সিদ্ধান্ত নিয়ে দেশজুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। কেন ঘটা করে চালু করার সাত বছরের মধ্যে ২০০০ টাকার নোট বাতিল করা হলো, তা নিয়ে অবশ্য কোনও ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তরফে। শুধু জানানো হয়, ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশে চালু থাকবে ২,০০০ টাকার নোট। ওই সময়ের মধ্যে আমজনতাকে তাঁদের কাছে থাকা ২০০০ টাকার নোট ব্যাঙ্কে গিয়ে বদলে নিতে হবে।
২০০০ টাকার নোটকে অচল করার সিদ্ধান্ত ঘোষণার পরে গত ৮ জুন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর জানিয়েছিলেন, বাতিল হতে যাওয়া ২,০০০ টাকার নোটের ৫০ শতাংশই ব্যাঙ্কে ফিরে এসেছে। তার পরে গত ৩ জুলাই রিজার্ভ ব্যাঙ্কের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ৩০ জুন পর্যন্ত ২,০০০ টাকার নোটের ৭৬ শতাংশ ফিরে এসেছে। যার পরিমাণ ২ লক্ষ ৭২ হাজার কোটি টাকা। বাজারে ৮৪ হাজার কোটি টাকা মূল্যের ২,০০০ টাকার নোট রয়েছে।’ ৩১ জুলাই অর্থাৎ পরবর্তী একমাসে আরও ১২ শতাংশ ২,০০০ টাকার নোট জমা পড়েছে। বর্তমানে বাজারে রয়েছে ৪২,০০০ কোটি মূল্যের ২,০০০ টাকার নোট। শুক্রবার রিজার্ভ ব্যাঙ্কের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ‘গত ৩১ অগস্ট পর্যন্ত ২,০০০ টাকার নোটের ৯৩ শতাংশ ব্যাঙ্কে ফিরে এসেছে। মোট ৩ লক্ষ ৩২ হাজার কোটি টাকা মূল্যের নোট জমা পড়েছে। এখনও বাজারে ২৪ হাজার কোটি টাকা মূল্যের ২,০০০ টাকার নোট ঘোরাফেরা করছে।’ ’