নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: আম জনতাকে সামান্য স্বস্তি দিয়েছে অগস্টের খুচরো মূল্যবৃদ্ধি। স্বাধীনতার মাসে দেশে খুচরোর মূল্যবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে ৬.৮৩ শতাংশে। যদিও রিজার্ভ ব্যাঙ্কের বেঁধে দেওয়া সহনশীলতার মাত্রার উপরে রয়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের খুচরো দাম।
ভারী বর্ষণের কারণে সবজির বাজার দর চড়া হওয়ায় গত জুলা্ই খুচরোর মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছিল ৭ দশমিক ৪৪ শতাংশে। যা ছিল গত ১৫ মাসের মধ্যে সর্বাধিক। অগস্টের প্রথম সপ্তাহে রেপো রেট ঘোষণার সময়ে সাংবাদিক বৈঠকে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস আভাস দিয়েছিলেন, চলতি আর্থিক বর্ষে দেশে মূল্যস্ফীতি বাড়বে। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে খুচরো মূল্যস্ফীতি গড়ে ৫.৪ শতাংশ দাঁড়াতে পারে। কিন্তু খুচরোর মূল্যবৃদ্ধি প্রথম পাঁচ মাসে যেখানে পৌঁছেছে তাতে তাঁর পূর্বাভাস ছাড়িয়ে মূল্যস্ফীতি সহনশীলতার মাত্রার উপরে থাকতে পারে বলে ইঙ্গিত মিলছে। মঙ্গলবার জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরোর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গত অগস্টে জুলাইয়ের তুলনায় সামান্য কমেছে খুচরো মূল্যস্ফীতি। ৬.৮৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। গত বছরের অগস্ট মাসে খুচরোর মূল্যস্ফীতি ছিল সাত শতাংশ। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় চলতি বছরের অগস্টে খুচরো মূল্যস্ফীতি কমেছে।
গত বছর দেশের শহর ও গ্রামীণ বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম গগনচুম্বী হয়ে দাঁড়িয়েছিল। চাল-ডাল-ভোজ্যতেল সহ খাদ্যদ্রব্য কিনতে গিয়ে চোখে কার্যত সর্ষেফুল দেখেছিলেন সাধারণ মানুষ। শেষ পর্যন্ত হস্তক্ষেপ করতে হয়েছিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়াকে। খুচরোর মূল্যবৃদ্ধিতে লাগাম টানতে গত বছরের মে মাস থেকে বেশ কয়েকবার রেপো রেট বাড়ানোর পথে হেঁটেছিল কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক। এমনকী মূল্যবৃদ্ধির সহনশীলতার মাত্রা ৬ শতাংশে বেঁধে দেয়। গত বছরের নভেম্বরে স্বস্তি দিয়ে প্রথম বার রিজার্ভ ব্যাঙ্কের বেঁধে দেওয়া ৬ শতাংশ সহনসীমার নীচে নেমেছিল খুচরো পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি। চলতি বছরের মার্চে এক ধাক্কায় কমে দাঁড়ায় ৫ দশমিক ৬৬ শতাংশে। এপ্রিলে তা কমে দাঁড়িয়েছিল ৪ দশমিক ৭০ শতাংশে। মে মাসে আরও কমে দাঁড়িয়েছিল ৪.৩১ শতাংশ। টমেটোর দাম গগনচুম্বী এবং উত্তর ভারতে ভয়াবহ বন্যার কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম জুনের তুলনায় বেড়েছে। গত বছরের এপ্রিলে খুচরোর মূল্যস্ফীতি ছিল ৭.৭৯ শতাংশ।