নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: স্বস্তির পরিবর্তে ক্রমশই বাড়ছে অস্বস্তি। নভেম্বরের পরে ডিসেম্বরেও দেশের বাজারে ঊর্ধ্বমুখী খুচরো পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি। গত ডিসেম্বরে খুচরো মূল্যবৃদ্ধির হার দাঁড়িয়েছে ৫.৬৯ শতাংশে। যা গত চার মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। যদিও ২০২২ সালের ডিসেম্বরের তুলনায় সদ্য সমাপ্ত বছরের ডিসেম্বর মাসে খুচরো পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি সামান্য কম। গত বছরের নভেম্বর মাসে দেশে খুচরোর মূল্যবৃদ্ধি ছিল ৫.৫৫ শতাংশ।
শুক্রবার সন্ধ্যায় জাতীয় পরিসংখ্যান কার্যালয়ের (এনএসও) পক্ষ থেকে এ খবর জানানো হয়েছে, ডিসেম্বরে খাদ্য মুদ্রাস্ফীতির হার বেড়েছে। নভেম্বর মাসে খাদ্য মূল্যবৃদ্ধি যেখানে ৮.৭০ শতাংশ ছিল তা ডিসেম্বর মাসে বেড়ে হয়েছে ৯.৫৩ শতাংশে। অথচ অক্টোবর মাসে খাদ্য মুদ্রাস্ফীতির হার ছিল ৬.৬১ শতাংশ। ফল, সবজি, ডাল ও মশলার দাম বৃদ্ধির কারণে খাদ্য মূল্যবৃদ্ধি বেড়েছে।। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের পক্ষ থেকে চেষ্টা করা হয়েছিল, খুচরো পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির হার ৪ শতাংশে বেঁধে রাখা। কিন্তু কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের সেই চেষ্টা বিফলে গিয়েছে। বরং লাফিয়ে বাড়ছে খুচরো পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি।
অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণে ২০২২ সালের মে মাস থেকে বেশ কয়েকবার রেপো রেট বাড়ানোর পথে হেঁটেছিল কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক। এমনকী মূল্যবৃদ্ধির সহনশীলতার মাত্রা ৬ শতাংশে বেঁধে দিয়েছিল। যদিও নভেম্বরে স্বস্তি দিয়ে প্রথম বার রিজার্ভ ব্যাঙ্কের বেঁধে দেওয়া ৬ শতাংশ সহনসীমার নীচে নেমেছিল খুচরো পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি। চলতি আর্থিক বছরের প্রথম মাসে অর্থাৎ এপ্রিলে খুচরোর মূল্যবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছিল ৪ দশমিক ৭০ শতাংশে। মে মাসে আরও কমে দাঁড়ায় ৪.৩১ শতাংশ। জুন মাসে এক ধাক্কায় বেড়ে খুচরো মূল্যবৃদ্ধি দাঁড়ায় ৪.৮৭ শতাংশে। জুলাইতে এক ধাক্কায় তা বেড়ে পৌঁছে গিয়েছিল ৭.৪৪ শতাংশে। গত অগস্টে স্বস্তি দিয়ে খুচরোর মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছিল ৬.৮৩ শতাংশে।