এই মুহূর্তে




গরিব-মেধাবী পড়ুয়াদের জন্য ‘গৌরী সেন’ হয়ে উঠেছিলেন রতন টাটা, জানুন কীভাবে?

নিজস্ব প্রতিনিধি: কথায় বলে, ‘লাগে টাকা, দেবে গৌরী সেন’। বহুল প্রচলিত আপ্তবাক্যের আধুনিক গৌরী সেন হয়ে উঠেছিলেন প্রয়াত শিল্পপতি তথা টাটা গোষ্ঠীর কর্ণধার রতন টাটা। গরিব-মেধাবী পড়ুয়াদের উচ্চশিক্ষার পথে যাতে অর্থ ‘কাঁটা’ হয়ে না দাঁড়াতে পারে, তার জন্য দু’হাতে বিলি করেছিলেন অকাতরে টাকা। টাটা গোষ্ঠীর অধীনস্ত বিভিন্ন সংস্থার তহবিল থেকেই ওই অর্থ জোগানো হয় মেধাবী পড়ুয়াদের। অনেকের স্বপ্নকে স্বপ্নের আঁতুড়ঘরে মরতে দেননি রতন টাটা। বরং স্বপ্নপূরণে ‘গরিবের ভগবান’ হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। শুধু মেধাবী গরিব পড়ুয়াদেরই নয়, মুম্বই আইআইটি, হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকেও দু’হাতে অর্থ দান করেছেন ভারতের ‘অমূল্য রতন’। একনজরে দেখে নেওয়া যাক গরিব ও মেধাবী পড়ুয়াদের জন্য টাটা গোষ্ঠী কী-কী ফেলোশিপ ও বৃত্তি দেয়-

টাটা স্কলারশিপ: এই প্রকল্পের মাধ্যমে টাটা গোষ্ঠী মেধাবী ছাত্রদের বিদেশে পড়ার জন্য বৃত্তি দেয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতায় ভারতীয় শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষার জন্য বৃত্তি প্রদান করা হয়। প্রতি বছর প্রায় 20 জন শিক্ষার্থী এই প্রকল্প থেকে আর্থিক সাহায্য পান। বৃত্তি হিসাবে ৩ কোটি টাকা দেওয়া হয়। যার মধ্যে সম্পূর্ণ স্নাতক ফি এবং হোস্টেলের খরচ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এই বৃত্তি পেতে গেলে শিক্ষার্থীকে অবশ্যই কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে হবে।

টাটা স্টিল মিলেনিয়াম স্কলারশিপ: দেশ ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে টাটা স্টিলের সুনাম রয়েছে। আর ওই সংস্থার তরফে মেধাবী ও আর্থিকভাবে পিছিয়ে থাকা পড়ুয়াদের জন্য চালু করা হয়েছে টাটা স্টিল মিলেনিয়াম স্কলারশিপ। এই প্রকল্পটি শুধুমাত্র সংস্থার কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য সীমাবদ্ধ। এতে শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী শিশুদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। এই প্রকল্পের মাধ্যমে পড়াশোনার জন্য যোগ্য ছাত্রদের ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হয়।

টাটা ক্যাপিটাল পাংখ স্কলারশিপ: এই বৃত্তি প্রকল্প মূলত ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের আর্থিক সাহায্যের জন্য চালু করা হয়েছে। এই প্রকল্পের সুবিধা পেতে গেলে পড়ুয়াদের ন্যূনতম ৬০ শতাংশ নম্বর পেতে হবে। পারিবারিক আয় বার্ষিক ৪ লক্ষ টাকার বেশি হতে পারবে না। এই প্রকল্পে যোগ্য ছাত্রদের বার্ষিক ৭৫ হাজার টাকা বৃত্তি দেওয়া হয়। সাধারণ এবং কর্মসংস্থানমূলক-উভয় কোর্সের ছাত্রদের এই প্রকল্পে সুবিধা পেতে পারেন।

টাটা ইনোভেশন ফেলোশিপ: মূলত নতুন উদ্ভাবন ও গবেষণার প্রচারের জন্য এই বৃত্তি চালু হয়েছে। এই প্রকল্পের অধীনে নির্বাচিত শিক্ষার্থী বা গবেষকরা প্রতি মাসে ২৫ হাজার টাকা করে সাহায্য পান। এটা শুধুমাত্র ভারতীয় পড়ুয়া ও গবেষকদের জন্য নির্ধারিত।

 

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

দিল্লি বিস্ফোরণে নাম জড়ানো আল-ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতাকে গ্রেফতার করল ইডি

হাসিনার ফাঁসির রায়ের কয়েক ঘন্টার মধ্যেই দিল্লিতে ইউনূসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা  

মোদির হাতে বিলাসবহুল ‘রোমান বাঘ’ ঘড়ি, দাম ও বিশেষত্ব শুনলে চমকে যাবেন

ইউনূস সরকারের ইন্ধনে জঙ্গি হামলার আশঙ্কা, বাংলাদেশ যাচ্ছেন না হরমনপ্রীত-রিচারা

মর্মান্তিক! অ্যাম্বুলেন্সে আগুন লেগে জীবন্ত দগ্ধ হয়ে মৃত নবজাতক, চিকিৎসক সহ ৪

ফের বোমা হামলার হুমকি! দিল্লিতে সিআরপিএফ স্কুল ও একাধিক আদালতে হুমকি মেল জৈশ-ই-মহম্মদের

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ