নিজস্ব প্রতিনিধি : রাজ্যপালের সঙ্গে চলতি বিবাদের মধ্যে হাইকোর্টে ধাক্কা খেল কেরলের পিনরাই বিজয়ন সরকার। এদিন কেরল হাইকোর্ট সেই রাজ্যের এক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে সরানোর নির্দেশ দিল। কিছুদিন আগেই কেরলের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে পদত্যাগের নির্দেশ দেন রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান। পাল্টা রাজ্যপালকে আচার্যর পদ থেকে সরাতে অধ্যাদেশ জারি করে কেরলের বাম সরকার।
কেরলে রাজ্য সরকারের সঙ্গে রাজ্যপালের বিরোধ তুঙ্গে। বিরোধ চরম পর্যায় পৌঁছায় রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খানের এক নির্দেশে। সুপ্রিম কোর্টের এক নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে পদত্যাগ করতে বলেন আরিফ। পাল্টা সবক’টি বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্যের পদ থেকে রাজ্যপালকে সরাতে অর্ডিন্যান্স জারি করে বিজয়ন সরকার। এই যুদ্ধং দেহি পরিস্থিতির আবহে এদিন কেরল হাইকোর্ট রাজ্যের মৎস্য ও সমুদ্র বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. রিজি জনকে সরিয়ে দিতে বলে। কারণ হিসাবে আদালত জানায়, ইউজিসির নিয়ম মেনে উপাচার্য নিয়োগ হয়নি। হাইকোর্টের এই রায় রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খানের হাতে অস্ত্র তুলে দিল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এর আগে রাজ্যের এপিজে আবদুল কালাম টেকনোলজি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে সরানোর আদেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। ইউজিসির নিয়ম অনুযায়ী, রাজ্যের সার্চ কমিটি কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগে তিনজনের নাম পাঠাবে রাজ্যপালের কাছে। সেখান থেকে একটি নামে সিলমোহর দেবেন রাজ্যপাল। কিন্তু আবদুল কালাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে মাত্র একটি নাম রাজ্যপালের কাছে পাঠানো হয়। তাই সেই উপাচার্য নিয়োগ খারিজ করে দেয় দেশের শীর্ষ আদালত।
সুপ্রিম কোর্টের ওই রায়ের পরই রাজ্যের সবক’টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে পদত্যাগ করতে বলেন রাজ্যপাল। যা নিয়ে কড়া অবস্থান নেয় রাজ্য সরকার। কিন্তু এদিনের হাইকোর্টের রায়ে ফাঁপরে পড়ল বিজয়ন সরকার। উপাচার্য ইস্যুতে লড়াইয়ে অ্যাডভান্টেজ রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খানের।