নিজস্ব প্রতিনিধিঃ ২০২২-এ পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে লজ্জার হারের পরেই কার্যত নড়েচড়ে বসেছে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। গত ১০ মার্চ উত্তরপ্রদেশ, গোয়া, মণিপুর, পঞ্জাব এবং উত্তরাখণ্ডের বিধানসভার নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পরেই দেখা গিয়েছে জয়ের মুখ দেখা তো দূর অস্ত, উল্টে জাতীয় রাজনীতি থেকে কার্যত বিলুপ্ত হচ্ছে হাত শিবির। আর তাই নির্বাচন শেষ হতেই কার্যত নড়েচড়ে বসেছে সোনিয়ারা। মঙ্গলবার রাতেই জানা গিয়েছিল সম্প্রতি যে ৫ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের ভরাডুবি হয়েছে সেই ৫ রাজ্যের কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব তথা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিদের অপসারণ করেছেন সোনিয়া। সেই কথা মেনে বুধবার সকালেই পঞ্জাবের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন সিধু। তার ঠিক পরের ডিন এই ৫ রাজ্যের নতুন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিদের নাম ঘোষণা করল জাতীয় কংগ্রেস দল।
জানা যাচ্ছে, বৃহস্পতিবার সকালেই উত্তরপ্রদেশ, গোয়া, মণিপুর, পঞ্জাব এবং উত্তরাখণ্ডের নতুন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিদের নামের একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে কংগ্রেসের তরফ থেকে। সেই তালিকা অনুযায়ী, উত্তরপ্রদেশের নতুন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির নাম জিতেন্দ্র সিং, গোয়ার দায়িত্ব পেয়েছেন রজনী পাতিল। উত্তরাখণ্ড ও মণিপুরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে যথাক্রমে অবিনাশ পাণ্ডে ও জয়রাম রমেশকে এবং সিধুর জায়গা দখল করে পঞ্জাবের নতুন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হয়েছেন অজয় মাকেন।
চলতি বছরের এই নির্বাচনে সকলের চোখ ছিল উত্তরপ্রদেশের ওপর। কারণ এই প্রথম উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনের দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়ে একেবারে সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে নেতৃত্ব দিতে দেখা গিয়েছিল সোনিয়া কন্যা প্রিয়াঙ্কা গান্ধিকে। উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি তথা যোগী আদিত্যনাথকে ধরাশায়ী করতে তিনি বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ রদবদলও করেন। যেমন এই বছর মহিলাদের সামনে এনে লড়াই চালানো, তাঁদের ৪০ শতাংশ টিকিট দেওয়া ইত্যাদি। কিন্তু তার ফল হয়েছে উল্টো। ১০ তারিখ নির্বাচনের ফলাফল সামনে আসার পর দেখা গেল প্রিয়াঙ্কার নেতৃত্বে এই দশকের সবথেকে লজ্জাজনক হার হেরেছে কংগ্রেস।