নিজস্ব প্রতিনিধিঃ দেশের ৫টি রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে ভরাডুবির পরেই একাধিক রদবদল জাতীয় কংগ্রেস দলে। মঙ্গলবার রাতেই কংগ্রেসের তরফ থেকে জানানো হয়েছিল, পঞ্জাবের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি নভজোৎ সিং সিধুসহ আরও ৫ রাজ্যের কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্বকে অপসারণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কংগ্রেসের অন্তর্বর্তী সভাপতি সোনিয়া গান্ধি। তারপরে এক রাতও কাটেনি। বুধবার সকালেই জানা গেল পঞ্জাবের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন নভজোৎ সিং সিধু। যদিও সিধুসহ ওই ৫ রাজ্যের শীর্ষ কংগ্রেস নেতৃত্বকে সোনিয়া গান্ধি নিজেই প্রদত্যাগপত্র জমা দিতে বলেছিলেন।
মঙ্গলবার রাতে সোনিয়া গান্ধি পঞ্জাবের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি নভজোৎ সিং সিধুএক ছাড়াও উত্তরপ্রদেশ, গোয়া, উত্তরাখণ্ড এবং মণিপুরের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিকেও পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। উল্লেখ্য, এই ৫ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে লজ্জাজনক হার হেরেছে হাত বাহিনী। আর তাই হারের কারণ অনুসন্ধানের পরেই এই ৫ রাজ্যের কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্বকে অপসারণের সিদ্ধান্ত নেন সোনিয়া। তাঁর আদেশ মেনে পরের দিন অর্থাৎ বুধবার সকালেই নিজের পদত্যাগপত্র জমা দিলেন সিধু। ২০২১ সালের মধ্যভাগে সিধু পঞ্জাবের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছিলেন। এরপর থেকেই একের পর এক বিতর্কিত মন্তব্য করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। এমনকি পঞ্জাবের সদ্য দায়িত্ব নেওয়া মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চন্নির সঙ্গেও সম্মুখ সমরে জড়ান সিধু। চান্নিকে নিয়ে একাধিক বিতর্কিত মন্তব্য করতে গিয়েছে সিধুকে। বিধানসভা নির্বাচনের আগে দলের মধ্যেকার এই ‘কোন্দল’ পঞ্জাবে কংগ্রেসের এই লজ্জার হারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কারণ, এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহল। আর তাই এই বিধানসভা নির্বাচনে এই ভরাডুবির পরেই সিধুসহ ৫ রাজ্যের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিকে সরানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সোনিয়া।
এদিন পঞ্জাবের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার কথা নিজেই সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছেন সিধু। বুধবার সকালে তিনি তাঁর পদত্যাগপত্রের একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন এবং লেখেন, ‘কংগ্রেস সভাপতির ইচ্ছা অনুযায়ী আমি আমার পদত্যাগপত্র পাঠালাম।’ সিধু পঞ্জাবের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির দায়িত্ব পালন করলেন ৮ মাস।