নিজস্ব প্রতিনিধি, উদয়পুর: দেশে বিভাজনের রাজনীতি চলছে। ঘৃণা ছড়িয়ে সংখ্যালঘুদের দমিয়ে রাখছে মোদি সরকার। দলিত, গরিব ও আদিবাসীদের উপরে লাগাতার অত্যাচার চলছে। গান্ধিজির খুনির মহিমা প্রচার চলছে। সংবিধান সঙ্কটের মুখে দাঁড়িয়ে। আজ শুক্রবার উদয়পুরে দলের তিনদিনব্যাপী চিন্তন শিবিরের উদ্বোধন করে এই ভাষাতেই মোদি সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধি। সেই সঙ্গে দলীয় নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেছেন, ‘দল অনেক কিছু দিয়েছে। এবার ঋণ শোধের সময় এসেছে। সাহসের সঙ্গেই প্রতিকুল পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হবে।’ চিন্তন শিবিরে রাহুল গান্ধি, প্রিয়াঙ্কা গান্ধি সহ প্রায় সাড়ে চারশো নেতা-নেত্রী উপস্থিত রয়েছেন।
ক্ষমতায় আসার পরেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শ্লোগান দিয়েছিলেন, ‘সর্বোচ্চ শাসন, ন্যূনতম সরকার’। এদিন মোদির সেই শ্লোগানকে বিঁধে সোনিয়া বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর ‘সর্বোচ্চ শাসন ও ন্যূনতম সরকার’ শ্লোগান আসলে কী তা গত আট বছরেই স্পষ্ট হয়েছে। এর অর্থ হল, দেশে বিভাজনের রাজনীতি চালিয়ে যাওয়া, সাধারণ মানুষকে লাগাতার ভয় ও নিরাপত্তাহীনতার আতঙ্কের মধ্যে থাকার জন্য বাধ্য করা। সংখ্যালঘুদের উপরে নিরন্তর অত্যাচার চালিয়ে যাওয়া। অথচ এটা ভুললে চলবে না, সংখ্যালঘুরা আমাদের দেশের নাগরিক ও সমাজেরই অংশ।’
একের পর এক ভোটে ভরাডুবিতে দলের হাল যে শোচনীয় হয়ে উঠেছে, তাও দ্ব্যর্থহীন ভাষায় স্বীকার করে নিয়েছেন কংগ্রেস সভানেত্রী। তাঁর কথায়, ‘একের পর এক ভোটে প্রত্যাশিত ফল না করার কারণে দলের নেতা-কর্মীরা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। কিন্তু এই পরিস্থিতি থেকে যদি বেরিয়ে আসতে হয়, তাহলে ব্যক্তিস্বার্থের চেয়ে দলীয় স্বার্থকে গুরুত্ব দিতে হবে। দল আমাদের অনেক কিছু দিয়েছে। এবার দলকে সেই ঋণ ফিরিয়ে দেওয়ার সময় এসেছে। ফের সাহসের সঙ্গে ঘুরে দাঁড়ানোর সময় এসেছে।’ ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য সংগঠনের খোলনলচের আমূল পরিবর্তন যে জরুরি তাও নিজের ভাষণে উল্লেখ করেছেন কংগ্রেসের সভানেত্রী