নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: দেশজুড়ে ক্রমশ বেড়ে চলেছে ঘৃণা। বেড়ে চলেছে ধর্মান্ধতা। এখনই এর বিরুদ্ধে রুখে না দাঁড়ালে ভারত আগামীদিনে এক ভয়াবহ ক্ষতির সম্মুখীন হবে, যার মেরামতি কোনওভাবেই সম্ভব নয়। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে কংগ্রেসের অন্তর্বর্তী সভানেত্রী এই অভিমত ব্যক্ত করেছেন। দেশবাসীর প্রতি তাঁর আর্জি, বিষবৃক্ষ বড় হওয়ার আগেই তাকে সমূলে উপড়ে ফেলতে হবে।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে কী লিখেছেন কংগ্রেসের অন্তর্বর্তী সভানেত্রী?
অন্তর্বর্তী সভানেত্রী লিখেছেন, ‘দেশজুড়ে এক সর্বনাশা ধর্মান্ধতা, অসহনশীলতা মাথাচাড়া দিচ্ছে। আমরা সমবেতভাবে এর বিরুদ্ধে রুখে না দাঁড়ালে এটা আমাদের সমাজকে ভয়ঙ্কর বিপদের মধ্যে ঠেলে দেবে। দেশের মারাত্মক ক্ষতি হবে। সেই ক্ষতের মেরামত করা কোনওভাবেই সম্ভব হবে না। আমরা কোনও অবস্থাতেই এটা হতে দিতে পারি না। আমরা মানুষ হিসেবে কোনও অবস্থাতেই নীরব সাক্ষী হতে পারি না এবং এই ধরনের সর্বনাশা মানসিকতাকে প্রশ্রয় দিতে পারি না। জাতীয়বোধের নাম করে শান্তি এবং বহুত্ববাদের বিনাশকে কোনওভাবেই বিনষ্ট হতে দেওয়া যায় না। আসুন, আমরা সকলে মিলে এই ঘৃণা-সুনামির বিরুদ্ধে একজোট হয়ে লড়াই করি। যে আদর্শের ওপর ভিত্তি করে ভারতের আত্মপ্রকাশ, আমাদের কর্তব্য সেই আদর্শকে রক্ষা করা, তাকে লালন করা।’
এই প্রসঙ্গে সনিয়া গান্ধি বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথকে শরণ করে লিখেছেন, ‘আজ থেকে শতবর্ষ আগে জাতীয়তাবোধে জাগ্রত কবি বিশ্বকে উপহার দিয়েছিলেন গীতাঞ্জলি। সেখানে তিনি লিখেছিলেন, চিত্ত যেথা ভয় শূন্য, উচ্চ সেথা শির, জ্ঞান যেথা মুক্ত. যেথা গৃহের প্রাচীর’ । আজ আমাদের মাথা উঁচু করে এই অপশক্তির বিরুদ্ধে লডা়ই করতে হবে।
আরও পড়ুন ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে ৪০০ আসনকে টার্গেট করে লড়ুক কংগ্রেস