নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: মোদি পদবি মন্তব্য মামলায় রাহুল গান্ধির শাস্তি স্থগিতাদেশের আর্জি খারিজ করে দেওয়া গুজরাত হাইকোর্টের বিচারপতি হেমন্ত প্রচ্ছাককে বদলির সুপারিশ করল সুপ্রিম কোর্ট কলেজিয়াম। তাকে গুজরাত হাইকোর্ট থেকে পটনা হাইকোর্টে বদলির সুপারিশ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন কলেজিয়ামের বৈঠকে দেশের বিভিন্ন হাইকোর্টের মোট ২৩ বিচারপতিকে বদলির সুপারিশ পাঠানো হয়েছে আইন মন্ত্রকের কাছে। তার মধ্যে গুজরাত হাইকোর্টের চার বিচারপতির নাম রয়েছে।
মোদি পদবি মন্তব্য মামলায় গত মার্চে ওয়ানাডের সাংসদ রাহুল গান্ধিকে দুই বছরের জেলের সাজা শুনিয়েছিলেন সুরাতের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট। ওই শাস্তির ফলে প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতির সাংসদ পদ খারিজ হয়েছিল। শাস্তি স্থগিতাদেশের আর্জি জানিয়ে গুজরাত হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন রাহুল। বিচারপতি হেমন্ত প্রচ্ছাকের এজলাসে মামলার শুনানি হয়। শুনানি শেষ হওয়ার পরে ৬৬ দিন রায়দান স্থগিত রাখার পরে রাহুলের আর্জি খারিজ করে দেন বিচারপতি প্রচ্ছাক।
গত ৪ অগস্ট সুপ্রিম কোর্ট প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতির আর্জিতে সাড়া দিয়ে শাস্তির উপরে স্থগিতাদেশ জারি করে। রায় দিতে গিয়ে বিচারপতি বিআর গাভাইয়ের নেতৃত্বাধীন শীর্ষ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চ গুজরাত হাইকোর্টের বিচারপতি হেমন্ত প্রচ্ছাকের দেওয়া রায় নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেন। কী কারণে রাহুলকে শাস্তি দেওয়া হল তার কারণ ব্যাখ্যা করেননি সুরাতের নিম্ন আদালতের বিচারক। ওই ভুল কীভাবে বিচারপতি প্রচ্ছাকের নজরে পড়ল না তা নিয়ে পরোক্ষে প্রশ্নও তুলেছিলেন শীর্ষ আদালতের বিচারপতিরা।উল্লেখ্য , বিচারপতি হওয়ার আগে হেমন্ত প্রচ্ছাক ২০০২ সালে গুজরাত দাঙ্গায় অভিযুক্ত বিজেপি নেত্রী মায়া কোদনানির আইনজীবী ছিলেন।
শুধু বিচারপতি হেমন্ত প্রচ্ছাকই নয়, রাহুল গান্ধির শাস্তি স্থগিতাদেশের আর্জি শুনতে রাজি না হওয়া গুজরাত হাইকোর্টের বিচারপতি গীতা গোপীকেও বদলির সুপারিশ করেছে সুপ্রিম কোর্ট কলেজিয়াম। একই সঙ্গে সমাজকর্মী তিস্তা শেতলবাদের আর্জির শুনানি থেকে সরে যাওয়া বিচারপতি সমীর দাভেকেও বদলির সুপারিশ করা হয়েছে।