নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: একে হিন্দু। তার ওপর আবার দলিত। সে কারণে সম্পর্ক মেনে নিতে পারেনি আসরিন সুলতানার পরিবার। একটি বৈদ্যুতিন চ্যানেলের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে আসরিন জানায়, তাঁর ভাই তাকে দুবার খুন করার চেষ্টা করে। সে এও বলে, মা তাঁকে পই পই করে বলেছিল, দলিত হিন্দু ছেলেকে বিয়ে করলে পরিণতি ভয়ঙ্কর হবে। দাদা খুন করতে বিন্দুমাত্র দ্বিধা করবে না।
খুন হয়েছে। তবে আসরিন নয়, তাঁর স্বামীকে রড দিয়ে পিটিয়ে খুন করেছেন আসরিনের দাদা। আর সব থেকে যেটা আরও বেশি লজ্জাজনক, তা হল পথচলতি মানুষ কেউ বাঁচাতে এগিয়ে আসেনি। সুলতানা জানিয়েছে, বিয়ের পর তারা তাদের মোবাইল ফোনের সিম কার্ড বদলে ফেলেছিল। কিন্তু তাতেও শেষ রক্ষা হল না। দাদা এবং তাঁর সঙ্গীদের কাছে স্বামীর জন্য প্রাণ ভিক্ষা করেছিলেন সুলতানা। কিন্তু সেই আর্জিতে সাড়া দেয়নি পথচলতি মানুষ।
সুলতানা জানিয়েছেন, নাগরাজুর মৃত্য নিশ্চিত করতে তার গলা বুট দিয়ে চেপে ধরেছিল দাদা এবং তার সঙ্গীরা। সুলতানা বলেন, নিজের পরিবারের হাতে স্বামীর মৃত্যু তাঁর পক্ষে মেনে নেওয়া অসম্ভব। যেটা আরও বেশি তাঁকে বিব্রত করেছে তা হল, রাস্তায় মানুষ দাঁড়িয়ে দেখেছে মৃত্যু। কিন্তু কেই সাহায্য করতে এগিয়ে আসেনি। হায়দরাবাদের মারেদপল্লির বাসিন্দা বছর পঁচিশের বি নাগরাজু সেকেন্দরাবাদের গাড়ির শোরুমে সেলসম্যানের কাজ করতেন। সুলতানার সঙ্গে তাঁর দীর্ঘ দিন প্রণয়ের সম্পর্ক ছিল। পরিবারের অমতে এ বছরের জানুয়ারিতে নাগরাজুকে বিয়ে করেন সুলতানা।
আরও পড়ুন অনার কিলিং! মুসলিম তরুণীকে বিয়ে করায় প্রকাশ্য রাস্তায় খুন হিন্দু যুবক