নিজস্ব প্রতিনিধি, তিরুঅনন্তপূরম: অবিবাহিতা (unwed mother) অথবা ধর্ষিতার (rape victims) গর্ভজাত সন্তানেরও সম্মানের সঙ্গে বেঁচে থাকার অধিকার রয়েছে। ফর্ম পূরণের সময় সে মায়ের নামের জায়গায় তাঁর নির্যাতিতা বা অবিবাহিতার নামের উল্লেখ করতেই পারে। এমনই এক মানবিক রায় দিলেন কেরল হাইকোর্টের বিচারপতি পিভি কুনহিকৃষ্ণন। পাশাপাশি বিচারপতি পিভি কুনহিকৃষ্ণন জানিয়েছেন, সেই সন্তানের মানবাধিকার (fundamental rights) রক্ষার দায়িত্ব রাষ্ট্রকে নিশ্চিত করতে হবে। সন্তান যাতে সংবিধান প্রদত্ত অধিকার থেকে বঞ্চিত হতে না পারে, সেটা নিশ্চিত করার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। রাষ্ট্র (State) সেই দায়িত্ব কোনওভাবেই এড়িয়ে যেতে পারে না। সংবিধান প্রদত্ত অধিকার থেকে সেই শিশু বঞ্চিত হলে আদালত প্রয়োজনে হস্তক্ষেপ করবে এবং সরকারকে বাধ্য করবে সেই শিশুর অধিকার সুরক্ষিত রাখার।একটি মামলার প্রেক্ষিতে কেরল হাইকোর্টের (Kerala High Court) বিচারপতি এই রায় দিয়েছেন।
বিচারপতি পিভি কুনহিকৃষ্ণনের (Justice P V Kunhikrishnan) এজলাস জানিয়েছে,’কোনও অবিবাহিতা বা নির্যাতিতার গর্ভস্থ সন্তানও একজন নাগরিক। আর পাঁচজন নাগরিককে সংবিধান যে অধিকার দিয়েছে, সেই অধিকারে অধিকার সেই সন্তানও। সংবিধান প্রদত্ত নাগরিক অধিকার (fundamental rights) ভোগ করা থেকে ওই শিশুকে কোনওভাবেই বঞ্চিত করা যাবে না। মায়ের গর্ভে লালিত-পালিত সন্তান ভূমিষ্ট হওয়ার পর সে যে যে ধরনের নাগরিক অধিকার পেয়ে থাকে, নির্যাতিতা বা অবিবাহিতার গর্ভজাত সন্তানও একই অধিকারে অধিকারী। যদি দেখা যায় সেই শিশু সংবিধান প্রদত্ত অধিকার থেকে বঞ্চিত, তাহলে আদালতের দায়িত্ব হবে শিশুটির অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করা।