এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

দেশের কৃষকরাই কাঁদানে গ্যাসের মুখে, দেশ এগোবে কী করে, প্রশ্ন মমতার

Courtesy - Google

নিজস্ব প্রতিনিধি: মধ্যরাতের বৈঠক নিষ্ফলা। পাঁচ ঘণ্টার বৈঠক শেষেও মেলেনি রফাসূত্র। বৈঠক ভেস্তে যাওয়ার পর কৃষকনেতা তথা ‘পঞ্জাব কিসান মজদুর সংঘর্ষ কমিটি’র(Punjab Kisan Mazdoor Sangarsh Committee) সাধারণ সম্পাদক সারওয়ান সিংহ পান্ধের জানান, তাঁর সংগঠন ‘দিল্লি চলো’ অভিযানে শামিল হওয়ার সিদ্ধান্ত বহাল রাখছে। তার পরই কেন্দ্রকে তোপ দেগে তিনি বলেন, ‘আমাদের দাবি সরকার পূরণ করবে, এমনটা আমরা ভাবিনি। যদি সরকার আমাদের কিছু দিত, তা হলে আমরাও আমাদের আন্দোলনের বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করতাম।’ সেই মতন এদিন অর্থাৎ মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে শুরু হয় প্রতিবাদী কৃষকদের ‘দিল্লি চলো’(Delhi Chalo) অভিযান। মিছিলে বিভিন্ন রাজ্যের কৃষকেরা থাকলেও নেতৃত্বে রয়েছেন পঞ্জাবের সাঙরুর কৃষকেরা। মিছিলে সামিল আড়াই হাজার ট্রাক্টরও। পঞ্জাব এবং হরিয়ানার মধ্যবর্তী শম্ভু সীমানায় প্রতিবাদী কৃষকদের(Protesting Farmers) রুখতে পুলিশ(Police) কাঁদানে গ্যাসের সেল(Tear Gas Cells) ব্যবহার করতেই বাংলায় বসে ঘটনার তীব্র নিন্দা করলেন সিঙ্গুর ও নন্দীগ্রামের জমি আন্দোলনের নেত্রী তথা বাংলার অগ্নিকন্যা ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। ট্যুইট করে প্রশ্ন তুললেন, ‘দেশের কৃষকদেরই যদি কাঁদানে গ্যাস দিয়ে আক্রমণ করা হয়, তবে দেশ এগোবে কী করে!’

ফসলের ন্যায্য সহায়ক মূল্য, কৃষিঋণ মকুব এবং স্বামীনাথন কমিশনের প্রস্তাবের রূপায়ণ – এই ৩ দাবিকে সামনে রেখে আন্দোলন শুরু করেছেন কৃষকেরা। আন্দোলনকারীদের দাবি, দু’বছর আগে কৃষকদের অর্ধেক দাবি মিটিয়ে দেওয়া হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও কেন্দ্র কিছুই করেনি। কৃষকেরা শান্তিপূর্ণ ভাবে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করলেও সরকার সময় নষ্ট করেছে। ২০২০ সালে তিন কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে দিল্লি সীমান্তে অবস্থানে বসেছিলেন কৃষকেরা। পরে তিন আইনই বাতিল করা হয়। আর এই আন্দোলনে নামা কৃষকদের দাবি ফসলের ন্যায্য সহায়ক মূল্যের আইনি নিশ্চয়তা দিতে হবে সরকারকে। একই সঙ্গে সমস্ত কৃষিঋণ মকুব করতে হবে। স্বামীনাথন কমিশনের প্রস্তাব মেনে ফসলের ন্যায্য সহায়ক মূল্য দেওয়ারও দাবি জানানো হয়েছে। ২০২০-২১ সালের প্রতিবাদে কৃষকদের বিরুদ্ধে রুজু হওয়া মামলা খারিজের দাবি জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। কৃষকদের দু’টি বড় সংগঠন সংযুক্ত কিসান মোর্চা এবং কিসান মজদুর মোর্চা ‘দিল্লি চলো’ অভিযানের নেতৃত্ব দিচ্ছে। দু’টি সংগঠনের আওতায় মূলত পঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশের ৩৫০টি ছোট-বড় কৃষক সংগঠন রয়েছে। তবে ২০২০ সালের আন্দোলনের নেতৃত্বে থাকা দুই কৃষকনেতা রাকেশ টিকায়েত এবং গুরনাম সিংহ চারুনি এদিনের প্রতিবাদ কর্মসূচিতে নেই। পরিবর্তে নেতৃত্বে দিচ্ছেন দুই কৃষক নেতা সারওয়ান সিংহ পান্ধের এবং জগজিৎ সিংহ দাল্লেওয়াল।

এদিন সেই অভিযানেই কৃষকদের ওপরে কাঁদানে গ্যাস ছুড়েছে পুলিশ। হরিয়ানার সীমান্তে কৃষকদের আটকাতে হয়েছে ধস্তাধস্তিও। সেই ঘটনারই এবার ‘তীব্র নিন্দা’ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একটি দীর্ঘ টুইট করে তিনি লিখেছেন, ‘দেশের কৃষকদেরই যদি কাঁদানে গ্যাস দিয়ে আক্রমণ করা হয়, তবে দেশ এগোবে কী করে! আমি কৃষকদের উপর এই আক্রমণের ঘটনার ‘তীব্র নিন্দা’ করছি। কেন্দ্রীয় সরকার যে কৃষক এবং শ্রমিকদের যথাযথ সাহায্য করতে পারেনি তার প্রমাণ এই ঘটনা। কৃষকদের তাঁদের মৌলিক অধিকারের কথা বলতে চাওয়ার জন্য আক্রান্ত হতে হচ্ছে। এই কি তবে বিকশিত ভারতের নমুনা? কৃষকদের আন্দোলন দমন করার পরিবর্তে বিজেপি নিজেদের অহংকার, উচ্চাকাঙ্ক্ষা বিসর্জন দিক। দেশের ক্ষতি করেছে এমন শাসনের অবসান ঘটাক। মনে রাখবেন, এই কৃষকরাই উচ্চ এবং পরাক্রমশালী সহ আমাদের সকলকে টিকিয়ে রাখে। আসুন সরকারের বর্বরতার বিরুদ্ধে কৃষকদের সাথে একাত্ম হয়ে দাঁড়াই।’

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

ফের বঙ্গে তীব্র তাপপ্রবাহের ‘চরম সতর্কতা’ জারি করল আবহাওয়া দফতর

জেডিএস থেকে সাসপেন্ড যৌন কেলেঙ্কারিতে জড়িত দেবগৌড়ার নাতি প্রজ্জ্বল

চকোলেটের ওপর মিলল ফাঙ্গাস, সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল

১৪ বছরের কিশোরীর গর্ভপাতের অনুমতি প্রত্যাহার করল সুপ্রিম কোর্ট

তৃতীয় দফায় ধনী প্রার্থী ১,৩৬১ কোটির মালিক, গরিব প্রার্থীর সম্বল মাত্র ১০০ টাকা

দিদির বিয়েতে নাচতে নাচতে মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়ল কিশোরী

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর