নিজস্ব প্রতিনিধি, পানাজি: পিতা-পুত্র কিংবা মা-বেটা কিংবা বাবা-মেয়ের একই সঙ্গে লোকসভা কিংবা বিধানসভায় পা রাখার কথা হামেশাই শোনা যায়। কিন্তু একই সঙ্গে স্বামী-স্ত্রী আইনসভায় পা রাখছেন এমন নজির খুব একটা নেই। এবারের ভোটে সেই অনন্য নজির তৈরি হলো সৈকত রাজ্য গোয়ায়। রাজ্য বিধানসভায় এবার একই সঙ্গে পা রাখতে চলেছেন তিন দম্পতি। তার মধ্যে দুই দম্পতি জুটি জিতেছেন বিজেপির টিকিটে আর এক জুটি কংগ্রেসের টিকিটে।
গোয়ার রাজনীতি বরাবরই পরিবারকেন্দ্রিক। গত কয়েক দশকের ইতিহাস বলছে, কয়েকটি পরিবারের হাতেই কার্যত বন্দি গোয়ার রাজনীতি। এবারের বিধানসভা ভোটে বিজেপি, কংগ্রেস সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে পরিবারতন্ত্রকেই প্রাধান্য দেওয়া হয়েছিল। তবে দলীয় নেতৃত্বের সেই বিশ্বাসের মর্যাদা রেখেছেন অধিকাংশই।
নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, সদ্য সমাপ্ত গোয়া বিধানসভা ভোটে তিন দম্পতি জয়ী হয়েছেন। বিদায়ী মন্ত্রিসভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা বিশ্বজিৎ রানে বিজেপির হয়ে জয়ী হয়েছেন ভালপই আসনে। আর তাঁর স্ত্রী দিবিয়া রানে পদ্ম প্রতীকে জয়ী হয়েছেন পরিয়েম আসন থেকে। রাজ্যের প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রী মনোহর পারিক্করের ছেলে উৎপল পারিক্করকে হারিয়ে পানাজি আসন থেকে জয়ী হয়েছেন বিজেপি প্রার্থী আতানাসিও মনসারেত্তে। আর তাঁর সহধর্মিনী জেনিফার মনসারেত্তে জিতেছেন তালেগাও থেকে। রাজ্যের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র ক্যালাঙ্গুট থেকে ফের জয়ী হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন ক্রীড়ামন্ত্রী মাইকেল লোবো। কংগ্রেসের হয়ে দাঁড়িয়ে জিতেছেন তিনি। আর তাঁর স্ত্রী ডেলিয়া লোবো জিতেছেন সিয়োলম থেকে।
তবে ভাগ্যদেবীর কৃপাদৃষ্টি বর্ষিত হয়নি কিরণ কান্দোলকার ও তাঁর স্ত্রী কবিতা কান্দোলকরের উপরে। স্বামী-স্ত্রী দুজনেই ঘাসফুলের টিকিটে ভোটভাগ্য পরীক্ষায় নেমেছিলেন। কিন্তু দুজনেই হেরেছেন। তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে লড়তে নেমেছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী আলেমাও চার্চিল ও তাঁর কন্যা ভালেঙ্কা চার্চিল। কিন্তু দুজনেই পরাজয়ের স্বাদ পেতে হয়েছে।