নিজস্ব প্রতিনিধি, শিলিং: প্রথমবার বিধানসভা ভোটে লড়তে নেমে মেঘের রাজ্য মেঘালয়ে সরকার গঠনের ক্ষেত্রে কিংমেকার হতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। আজ সোমবার বিভিন্ন জনমত সমীক্ষক সংস্থার বুথ ফেরত সমীক্ষায় জানানো হয়েছে, ‘৬০ আসন বিশিষ্ট মেঘালয় বিধানসভায় কোনও দলই এককভাবে সরকার গড়ার মতো সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাচ্ছে না। ২২টি আসন নিয়ে একক বৃহত্তম দল হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছে বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমার ন্যাশনাল পিপলস পার্টি। বিজেপি ও কংগ্রেস পেতে পারে যথাক্রমে ৬ টি করে আসন। তৃণমূল কংগ্রেস পেতে পারে ১১টি আসন। নির্দল ও অন্যান্যরা পেতে পারে ১৫টি আসন।’
মেঘালয়ে সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজন ৩১ আসন। বুথ ফেরত সমীক্ষা অনুযায়ী, বিজেপি ও কনরাড সাংমা হাত মেলালেও সংখ্যাগরিষ্ঠতার মতো প্রয়োজনীয় আসন জোগাড় হচ্ছে না। সেক্ষেত্রে হর্স ট্রেডিংয়ের রাস্তা ছাড়া বিকল্প কোনও পথ নেই। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেস ও বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা যদি হাত মেলান সেক্ষেত্রে দুই দলের মিলিত আসন সংখ্যা হচ্ছে ৩৩। অর্থাৎ সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজনীয় ম্যাজিক ফিগার ছাপিয়ে যাবে। আর সরকার গঠনের পরে নির্দল ও স্থানীয় দলগুলির সমর্থনও অনায়াসে মিলবে।
মেঘালয়ে প্রথমবার লড়তে নেমে তৃণমূল কংগ্রেসের এমন ফল তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। যদিও বুথ ফেরত সমীক্ষার ফল অনেক সময়ে আসল ফলের সঙ্গে মেলে না। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে বুথ ফেরত সমীক্ষার উল্টো ফল হয়েছে। তাই আগামী ২ মার্চ ভোট গণনার দিনেই মেঘালয়ে পরবর্তী সরকার গঠন কারা করবে তা নিয়ে সুস্পষ্ট আভাস মিলবে। তবে বুথ ফেরত সমীক্ষা যদি মিলে যায় সেক্ষেত্রে উত্তর পূর্বে তৃণমূলের ভবিষ্যত অনেকটাই উজ্জ্বল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পণ্ডিতরা।