নিজস্ব প্রতিনিধিঃ পেটে ছুঁচোর ডন মারছিল। তাও দুপুরের খাবার দিতে দেরি করে ফেলেছিল স্ত্রী। ব্যস, রাগে মাথায় চড়ল আগুন। আর সেই রাগ গিয়ে পড়ল সহধর্মিনীর উপরে। রাগের মাথায় স্ত্রীকে ছুরির কোপে ফালাফালা করে ফেলল গুণধর স্বামী। পরে অবশ্য ফাঁসির দড়ি থেকে বাঁচতে নিজেও আত্মঘাতী হল। ভয়ঙ্কর ঘটনাটি ঘটেছে যোগীর রাজ্য উত্তরপ্রদেশের সীতাপুরে।
থানগাঁও থানার এসএইচও হনুমন্ত লাল তিওয়ারি জানিয়েছেন, নিহত ওই স্ত্রীর বছর ২৮-এর প্রেমা দেবী। অন্যদিকে আত্মঘাতী ওই যুবক হলেন পরাশরাম। ক্ষুব্ধ স্বামী প্রথমে তার স্ত্রীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যা করে। পরে জেলে যেতে হবে এই আশঙ্কায় ঘরের মধ্যে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হন।
পুলিশ সূত্রে খবর, সোমবার বিকেলে মাঠে কাজ করে বাড়ি ফিরে খাবার চান পরাশরাম। তখন বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ প্রস্তুত হয়নি। সেইজন্য স্ত্রী প্রেমা দেবীর খাবার দিতে দেরি হয়। আর তাতেই রেগে যান স্বামী। শুরু হয় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বচসা। এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে স্ত্রীকে বারবার ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে খুন করেন পরাশরাম। গ্রামবাসীরা জানান, ঘটনার পর অভিযুক্ত স্বামী ঘরে নিজেকে আটকে রেখে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। বর্তমানে দুজনের মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠান হয়েছে। ইতিমধ্যেই দুজনের পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করা শুরু করেছে উত্তরপ্রদেশের পুলিশ।