নিজস্ব প্রতিনিধি: রবি রাতেই পরীক্ষামূলক ভাবে ট্রেন চালানো হয়ে গিয়েছিল চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনাস্থল(Coromondol Express Accident) ওড়িশার(Orrisa) বালেশ্বরের(Baleshwar) কাছে থাকা বাহানাগা বাজার স্টেশন(Bahanaga Bazaar Station) এলাকা দিয়ে। রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের উপস্থিতিতে রবিবার রাত ১২টা বেজে ৫ মিনিটে আপ এবং ডাউন দুটি লাইনেই পরীক্ষামূলক ভাবে ট্রেন চলাচল শুরু হয়। রাত ১০টা ৪০ মিনিট নাগাদ প্রথমে ডাউন লাইনে একটি মালগাড়ি চালানো হয়। সেই দিয়েই ট্রায়াল রান শুরু। এরপর রাত ১১টা ৩৯ মিনিটে চালানো হয় দ্বিতীয় মালগাড়িটি। তারপর আপ লাইনে প্রথম ট্রেনটি চালানো হয় মধ্যরাত ১২টা বেজে ৫ মিনিটে। সোমবার সকালে সেই লাইন দিয়েই পার হয় হাওড়া পুরী বন্দে ভারত এক্সপ্রেস(Vande Bharat Express)। কিন্তু সেই এলাকা বন্দে ভারত পার হয় ঘন্টায় মাত্র ১০কিমি বেগে। অর্থাৎ খুবই ধীর গতিতে। রেল সূত্রে জানানো হয়েছে আপাতত বেশ কয়েকদিন এই গতিতেই ওই এলাকায় ট্রেন চলবে। তারপর আস্তে আস্তে গতি বাড়ানো হবে।
আরও পড়ুন করমণ্ডল দুর্ঘটনায় ক্ষতিপূরণ মিলবে কীভাবে, জানিয়ে দিল রেল
সোমবার সকালে একদিকে যেমন আপ ডাউন লাইনে হাওড়া পুরী বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চালানো হয়েছে তেমনি আপ লাইনে চালানো হয়ে পুরী শালিমার জগন্নাথ এক্সপ্রেস। দুটি ট্রেনকেই ঘন্টায় ১০কিমি বেগে ওই এলাকায় পার করানো হয়। একইসঙ্গে দুর্ঘটনাগ্রস্ত এলাকায় চলছে মেরামতির কাজ। শুক্রবার সন্ধ্যায় দুর্ঘটনার পর থেকে অধিকাংশ ট্রেনই বাতিল করা হয়। যার জেরে চেন্নাইগামী, ওডিশাগামী ট্রেনগুলি বাতিল হয় রাতারাতি। উলটোপথে কলকাতা ফেরত আসতেও সমস্যায় পড়েন যাত্রীরা। কবে ফের পরিষেবা স্বাভাবিক হবে, সেদিকেই তাকিয়ে ছিলেন যাত্রীরা। বিকল্প রুটের জন্য কার্যত হন্যে হয়ে ছুটোছুটি করছেন আটকে পড়া যাত্রীরা। এখন নতুন করে ফের ট্রেন চলাচল শুরু হওয়ায় আটকে পড়া এই যাত্রীরা ফের নিজের নিজের গন্থব্যে পৌঁছাতে পারবেন। দক্ষিণ পূর্ব রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন থেকেই একে একে দূরপাল্লার বাতিল ট্রেনগুলি ফের চালানো শুরু করে দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন বিস্তারক খুঁজছে বঙ্গ বিজেপি, উঠছে প্রশ্নও
এদিকে করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় বাংলার বাসিন্দাদের মধ্যে মৃতের সংখ্যা বেড়েছে। বালেশ্বরের ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত পশ্চিমপক্ষের মোট ৮১ জন বাসিন্দার মৃত্যু হয়েছে। রবিবার রাতে এই পরিসংখ্যানের কথা জানান খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। রবিবার রাতে নিজের ফেসবুকে মুখ্যমন্ত্রী জানান, বাংলার মোট ৮১ জন বাসিন্দা এই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন। প্রায় ২০৬ জন আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর মধ্যে ৭৩ জন এখনও চিকিৎসাধীন। ৫৬ জনকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এই দুর্ঘটনায় এখনও ১৮২ জনের মৃতদেহ চিহ্নিত করা সম্ভব হয়নি। এমনটাই জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।