এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

করমণ্ডল দুর্ঘটনায় ক্ষতিপূরণ মিলবে কীভাবে, জানিয়ে দিল রেল

নিজস্ব প্রতিনিধি: শুক্র সন্ধ্যায় ওড়িশার বালেশ্বরের কাছে বাহানাগায় ভয়াবহ ও মর্মান্তিক দুর্ঘটনার(Coromondol Express Accident) মুখে পড়ে চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেস। সেই দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা ঠিক কত তা নিয়ে বিভ্রান্তি থেকেই যাচ্ছে। ওড়িশা সরকারের হিসাবে মৃতের সংখ্যা ২৭৫। রেলের(Rail Ministry) হিসাব বলছে ২৮৮। সংবাদমাধ্যমের দাবি ২৯৫। বেসরকারি দাবি ৫০০’র বেশি। অভিযোগ আছে বহু দেহ লোপাটেরও। তারই মাঝে এবার রেল থেকে জানিয়ে দেওয়া হল কীভাবে ক্ষতিপূরণ(Compensation) মিলবে। এখনও পর্যন্ত বাংলার(Bengal) ৬২ জন মানুষ মারা গিয়েছেন এই দুর্ঘটনায়। যদিও এখনও অনেকেই নিখোঁজ রয়েছেন। এই অবস্থায় বাংলার মৃতদের পরিবার রেলের তরফে ১০ লক্ষ, প্রধানমন্ত্রী ত্রাণ তহবিল থেকে ২ লক্ষ, রাজ্য সরকার থেকে ৫ লক্ষ এবং তৃণমূলের তরফ থেকে ২ লক্ষ টাকা পেতে চলেছেন। এর মধ্যে কেন্দ্রের প্রদেয় ১২ লক্ষ টাকা কীভাবে মিলবে সেটাই জানিয়েছে রেল।

আরও পড়ুন বন্দে ভারতের মাশুল গুণল কী করমণ্ডল, শুরু বিতর্ক

রেল যে বিজ্ঞপ্তি(Notice) সোমবার সামনে এনেছে তাতে মৃতদের পরিবার ও আহতরা ক্ষতিপূরণের জন্য দাবি জানাতে পারবেন নির্দিষ্ট পদ্ধতি মোতাবেক। সেই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মৃতের পরিবারের সদস্যেরা কিংবা আহতেরা বালেশ্বর স্টেশন কিংবা হাসপাতালে গিয়ে ক্ষতিপূরণ দাবি করতে পারবেন। ক্ষতিপূরণ সংক্রান্ত সমস্যার কথা শোনা এবং সমাধানের জন্য কিছু হেল্পলাইন নম্বরও জানিয়েছে রেল। এই নম্বরগুলি হল – 8249591559, 7978418322 ও 9439981999। এ ছাড়া, কেউ চাইলে রেলের 64810 নম্বরেও ফোন করে সাহায্য চাইতে বা ক্ষতিপূরণ দাবি করতে পারেন। তবে প্রতি ক্ষেত্রেই নির্দিষ্ট নথিপত্র রেলকে দেখিয়ে পরিচয়ের প্রমাণ দিতে হবে। একই সঙ্গে রেলের তরফে জানানো হয়েছে, রবিবার রাত পর্যন্ত মোট ৭৭টি মৃতদেহ শনাক্ত করা গিয়েছে। সেগুলি যথাযথ নিয়ম মেনে তুলে দেওয়া হয়েছে পরিবারের সদস্যদের হাতে। কিন্তু অনেক যাত্রীর দেহই এখনও শনাক্ত করা যায়নি। অশনাক্ত দেহগুলি মর্গে সাময়িক ভাবে সংরক্ষণ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন দগদগে স্মৃতি নিয়ে এখনও দাঁড়িয়ে কামরার কঙ্কাল

রেলের হিসাব অনুযায়ী, শুক্রবার সন্ধ্যায় করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় মোট মৃত্যু হয়েছে ২৮৮ জনের। রবিবার প্রকাশিত ওড়িশার সরকারি তথ্য বলছে, এঁদের মধ্যে ১৮২ জনকে এখনও শনাক্ত করা যায়নি। আপাতত লাশকাটা ঘরেই রাখা হয়েছে দেহগুলি। তবে আহতদের অনেকেরই অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাই মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে। এখনও কিছু মানুষ খুঁজে বেড়াচ্ছেন তাঁদের সেই আত্মীয়বন্ধুকে, যারা করমণ্ডলে ছিলেন। দ্বিতীয়ত, এত অশনাক্ত দেহ কিসের ইঙ্গিত দিচ্ছে, তা-ও ভেবে দেখার বিষয়। দুর্ঘটনায় মৃতদের তাঁদের পরিজনের কাছে পৌঁছে দেওয়াটাও একটা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে ভারতীয় রেল এবং ওড়িশা সরকারের কাছে। বিশেষ করে যেখানে দেহ বলতে কোনওটা মুণ্ডহীন ধড়, কারও থেঁতলে যাওয়া মাথা তো কারও জ্বলে যাওয়া মুখ। শরীরের অঙ্গ প্রত্যঙ্গের চিহ্ন কিংবা পরনের সাজ পোশাকই আপাতত সেগুলির পরিচয়পত্র। তবে মৃতদেহ শনাক্তকরণের একটি ব্যবস্থা রবিবার সকাল থেকে করেছে ওড়িশা প্রশাসন। মৃতদেহের ছবি তুলে, সেগুলিকে এক একটি নম্বর দিয়ে চিহ্নিত করা হয়েছে। জায়ান্ট স্ক্রিনে প্রজেক্টরের মাধ্যমে দেখানো হচ্ছে সেই সব ছবি। হাসপাতাল এবং থানায় এই ব্যবস্থা করা হয়েছে। দেহ দেখে চিহ্নিত করতে পারলে তখনই তা পরিবারের হাতে তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করছে ওড়িশা প্রশাসন।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

হাইকোর্টেই বিক্ষোভের মুখে বিকাশ, শুনলেন ‘চাকরিখেকো’ শ্লোগান

কেন্দ্রের সরকারই থাকবে কিনা সন্দেহ, আবার কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা, হাসছে তামাম বাংলা

ফের বঙ্গে তীব্র তাপপ্রবাহের ‘চরম সতর্কতা’ জারি করল আবহাওয়া দফতর

গরমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ক্যাব-ট্যাক্সির ভাড়া, সমস্যায় যাত্রীরা

মানিকতলা বিধানসভা কেন্দ্র নিয়ে মামলা প্রত্যাহার, ট্যুইট করে দাবি কুণালের

বাংলার মন্ত্রিসভার বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তে সুপ্রিম স্থগিতাদেশ

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর