নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান নিশ্চিত ছিলেন জাতিসঙ্ঘে কাশ্মীর ইস্যু তুলে আন্তর্জাতিক মহলের সমর্থন পাবেন। কিন্তু সেটা যে ব্যুমেরাং হয়ে ফিরে আসবে সেটা একবারের জন্য বুঝতে পারেননি। যখন বুঝলেন, তখন ম্যাচ হাতের বাইরে। সৌজন্যে জাতিসঙ্ঘে ভারতের ফার্স্ট সেক্রেটারি স্নেহা দুবে। তাঁর ক্ষুরধার ভাষণ শুধু পাকিস্তানকে নয়, কার্যত গোটা বিশ্বকে অবাক করে দিয়েছে। সাউথ ব্লক এই তরুণ কূটনীতিকের জন্য রীতিমতো গর্ব অনুভব করছে।
কে এই স্নেহা দুবে?
বাবা বহুজাতিক সংস্থায় উচ্চপদে আসীন। মা স্কুল শিক্ষিকা। পরিবারের মধ্যে স্নেহাই প্রথম কেন্দ্রীয় সরকারি চাকুরে। প্রাথমিক শিক্ষা গোয়ায়। ছোট থেকেই পড়াশোনায় তুখর। স্বপ্ন ছিল আমলা হওয়ার। প্রাথমিক শিক্ষার পাঠ চুকিয়ে উচ্চশিক্ষার জন্য প্রথমে পুনে, পরে দিল্লি। পুনেতে ভর্তি হলেন সেখানকার ঐতিহ্যমন্ডিত ফারগুসন কলেজে। পরবর্তীকালে আন্তর্জাতিক বিষয়ে উচ্চশিক্ষার জন্য ভর্তি হন দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে। ওই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমফিল।
ইউপিএসসি পরীক্ষায় প্রথমবারের চেষ্টাতেই সফল। তারপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। প্রথম চাকরি ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের গুরুত্বপূর্ণ পদে। ২০১৪ মাদ্রিদে ভারতীয় দূতাবাসে বদল। দায়িত্ব পেলেন থার্ড সেক্রেটারির। তারপর একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। তরুণীর কাজ দেখে ভারতের বিদেশমন্ত্রক রীতিমতো মুগ্ধ। সরকার সিদ্ধান্ত নিল জাতিসঙ্ঘে ভারতের ফার্স্ট সেক্রেটারি পদে এই তরুণীকেই নিয়োগ করা হবে। সিদ্ধান্ত যে ভুল ছিল না আজ সেটা পদে পদে প্রমাণিত। ইমরানের খানের মতন একজন পোড়খাওয়া নেতাকে যে ভাষায় জবাব দিয়েছেন, তা দেখে বিমোহিত গোটা দুনিয়া। সোশ্যাল মিডিয়া বলছে নারী শক্তির জয়।