নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: চিনের সঙ্গে সীমান্ত সমস্যা কিংবা পাকিস্তানি জঙ্গিদের হামলা নিয়ে বার বার দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জহরলাল নেহরুকে কাঠগড়ায় তুলেছেন। জরুরি অবস্থা জারি নিয়ে ইন্দিরা গান্ধিকে খোঁচা দিয়েছেন। সোমবার সংসদের বিশেষ অধিবেশনে সেই জহরলাল নেহরু থেকে শুরু করে ইন্দিরা গান্ধি, লালবাহাদুর শাস্ত্রী থেকে মনমোহন সিংয়ের অবদানের কথা স্মরণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আর তাঁর মুখে নেহরু-ইন্দিরার প্রশংসা শুনে হতচকিত হয়ে যান কংগ্রেস সাংসদরা। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, ‘এ তো অনেকটা … মুখে রামনাম।’
এদিন থেকেই পাঁচদিনব্যাপী সংসদের বিশেষ অধিওবেশন শুরু হয়েছে। অধিবেশনের শুরুতেই বিশেষ ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী। আর ওই ভাষণে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী পণ্ডিত জহরলাল নেহরুরু কথা বলতে গিয়ে মোদি বলেন, ‘১৯৪৬ সালের ১৫ অগস্ট মধ্যরাতে স্বাধীনতা প্রাপ্তির মুহুর্তে সংসদে দাঁড়িয়ে নেহরুজি যে ভাষণ দিয়েছিলেন তা ইতিহাস হয়ে রয়েছে। এই সংসদে আজও নেহরুজির সেই কথা প্রতিধ্বনিত হয়। তাঁর ভাষণ সর্বদা আমাদের অনুপ্রাণিত করে। আর এক প্রধানমন্ত্রী লালবাহাদুর শাস্ত্রী আমাদের দেশের জওয়ানদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছিলেন। এমনকি সবুজ বিপ্লব ঘটিয়েছিলেন। এই সংসদ ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের সমর্থন জানিয়েছিল। ইন্দিরা গান্ধিজি মুক্তিযুদ্ধের সমর্থনে বিশেষ ভূমিকা নিয়েছিলেন। নরসিমা রাও আর্থিক সংস্কার ঘটিয়েছিলেন। মনমোহন সিংও দেশের স্বার্থে একাধিক সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।’
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর কথা বলতে গিয়ে মোদি বলেন, ‘অটলজি এই সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন, সরকার আসবে যাবে, দল গড়বে, ভাঙবে কিন্তু সংসদ থেকে যাবে। অটলজির সময়েই আদিবাসী মন্ত্রক গঠন হয়েছুইল। ছত্তিশগড়-সহ তিন নতুন রাজ্য গঠন হয়েছিল।’