নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: দুর্ঘটনায় মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়ে গত সাত মাস হাসপাতালে ভর্তি এক মহিলা। সাত মাস ধরে অচৈতন্য। গত সপ্তাহে তিনি একটি সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। সন্তান সুস্থ।
হাসপাতালে ভর্তি ২৩ বছরের তরুণী। গত ১ এপ্রিল দিল্লির এমসে তাঁকে ভর্তি করা হয়। ভোর তখন সাড়ে চারটে। রাতে তিনি এবং তাঁর স্কুটারে করে কোথাও যাচ্ছিলেন। স্বামী বা স্ত্রী কারও মাথাতেই হেলমেট ছিল না। স্বামী সামান্য চোট পেলেও স্ত্রী গুরুতর আহত হন। মাথায় মারাত্মক চোট পান। মাত্র ছয় সপ্তাহ আগে দুইয়ের বিয়ে হয়। সেই সময় সে ৪০ দিনের অন্তঃসত্ত্বা।
দুর্ঘটনাস্থলের পাশে থাকা মানুষজন দম্পতিকে বুলান্দশহরের আবদুল্লা হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে হাসপাতালের তরফ থেকে দম্পতিদের আত্মীয়দের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। স্বামীর আঘাত তেমন গুরুতর না হওয়ায় তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। স্ত্রীকে সেখান থেকে নিয়ে আসা হয় দিল্লিতে। ভর্তি করা হয় এমসে। তাকে রাখা হয় ভেন্টিলেটশনে। হাসপাতালের তরফ থেকে গর্ভজাত সন্তানের জানতে বিষয়ে পরিবারের পরামর্শ চাওয়া হলে তারা প্রসবের সিদ্ধান্ত নেন। অপেক্ষায় ছিলেন প্রসব বেদনা শুরুর। গত ২২ অক্টোবর মহিলার প্রসববেদনা শুরু হলে চিকিৎসকেরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। তরুণী একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। সদ্যোজাতর ওজন আডা়ই কিলো। শিশুসন্তান ভালো আছে। তরুণীর ভেন্টিলেটর সাপোর্ট খুলে নেওয়া হয়েছে। নিশ্বাস নিচ্ছেন। আগের থেকে তাঁর শারীরিক পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক।
আরও পডু়ন গ্রামবাসীরা কথা বলেন সংস্কৃততে, প্রতিদিন যোগশিবির, ফি-মাসে গায়ত্রী যজ্ঞ