নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি : বিজেপির সংসদীয় বোর্ডে ঠাঁই পেলেন না উত্তপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। অসম, কর্নাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীদের বোর্ডে জায়গা হলেও বাইরে রাখা হল হিন্দুত্বের ‘পোস্টার বয়’কে। সূত্রের খবর মূলত অমিত শাহের আপত্তিতেই এ যাত্রায় সংসদীয় বোর্ডের মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় ঢোকা হল না উত্তপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর।
গেরুয়া শিবিরের যাবতীয় আশঙ্কা উড়িয়ে রেকর্ড আসন পেয়ে ফের উত্তরপ্রদেশের কুর্সিতে বসেন যোগী আদিত্যনাথ। প্রচারে নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহরা যথেষ্ট সময় দিলেও মূলত যোগীর ‘সুশাসন’-এর জেরেই দেশের সর্ব্বৃহৎ রাজ্যে ফের ক্ষমতায় আসীন হয় বিজেপি বলে অভিমত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। ভাবা গিয়েছিল, যোগীকে বিজেপির সব গুরুত্বপূর্ণ কমিটিতে রাখা হবে। কিন্তু বুধবার বিজেপির নতুন সংসদীয় বোর্ডের সদস্যদের যে নামের তালিকা প্রকাশ করা হল, তাতে নাম নেই যোগী আদিত্যনাথের। বিষয়টি নিয়ে কাটাছেঁড়া শুরু হয়ে গিয়েছে। বিজেপি সূত্রের খবর, মূলত অমিত শাহের আপত্তিতেই যোগী সংসদীয় বোর্ডের বাইরে থাকলেন।
বিজেপির সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, গেরুয়া শিবিরের পক্ষে উত্তরপ্রদেশের দায়িত্বে ছিলেন সুনীল বনশল। তিনি যোগী রাজ্যে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের (সংগঠন) পদ সামলেছিলেন। উনি অমিত শাহের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। তাঁর সঙ্গে যোগীর বনিবনা হচ্ছিল না। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছায় যে,উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে হুমকি দেন যে, বনশলকে না সরালে তিনি লোকসভা ভোটে কোনও কাজই করবেন না। এরপরই বনশলকে উত্তরপ্রদেশ থেকে সরিয়ে বাংলার দায়িত্বে পাঠানো হয়। পাল্টা যোগী ঘনিষ্ঠ স্বতন্ত্র দেব সিংকে বিধান পরিষদের চেয়ারম্যানের পদ থেকে সরিয়ে দেন অমিত শাহ। এবার শাহের ‘গুড বুকে’ না থাকার খেসারত দিতে হল যোগী আদিত্যনাথকে। জায়গা হল না সংসদীয় বোর্ডে।