এই মুহূর্তে




নেই গণেশ সরস্বতীরা! কেন রায় বাড়িতে ‘কুলোপতি’ নামে পুজিত হন দেবী দুর্গা ?




নিজস্ব প্রতিনিধি : হাতে আর মাত্র কটা দিন। এরপরেই উৎসবের আমেজে ভাসবে বাঙালি। বছর পর আসছে উমা..। উমাকে বরণ করে নিতে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে ভক্তরা। আর পুজো এলেই মনে পড়ে বনেদি বাড়ির পুজোর কথা। এই বাড়ির পুজোর দীর্ঘ ইতিহাস পড়ে রয়েছে। বছরের পর বছর ধরে চলে আসছে দুর্গা মায়ের আরাধনা। প্রত্যেক’টা বনেদি বাড়ির পুজোয় লুকিয়ে রয়েছে জীবন্ত গল্প। তেমনই প্রত্যেক বছর মাতৃ আরাধনায় মেতে ওঠে রায় বাড়ি। এই বাড়ির পুজো ৬০০ বছর পার করে ফেলেছে। তবে রায় বাড়িতে উমা পুজিত হন কুলোপতি নামে পরিচিত। আরও একটি অনন্য বৈশিষ্ট্য রয়েছে রায় বাড়ির পুজোয়। তা হল মা দুর্গা এখানে একা পুজিত হন।

শান্তিপুরের রায়বাড়ির পুজো একটু অন্য রকমের। এখানে দেবী কুলোপতি নামে পরিচিত। সেই সূদুর অতীত থেকে নিষ্ঠার সঙ্গে ৬০০ বছর ধরে পূজিত হচ্ছে দেবী দুর্গা। এই বাড়িতে দুর্গা একা পুজিত হন। অসুরের হাতে খড়গের বদলে থাকে মাটির তলোয়ার।

ইতিহাস : মা দুর্গা একা এখানে পুজিত হন। পাশে নেই লক্ষী-সরস্বতী, গণেশ-কার্তিক। শুরুর দিকে ‘কুলো’কে দেবী হিসেবে পুজো করা হত। তার কিছু সময় পর মূর্তি তৈরি শুরু হয়। তা-ও শুধুই দুর্গার। কথিত আছে, এখানে পুজো শুরু হয় মায়ের ‘স্বপ্নাদেশ’ পাওয়ার পর। জানা যায়, স্বপ্নাদেশে পাওয়া এই পুজো। মা দুর্গাকে কুলোয় এঁকে পুজো করেছিলেন গৃহকর্তী। এরপর থেকেই শান্তিপুরের রায় বাড়ির মা দুর্গার নামকরণ হয় ‘কুলো’ দেবী।

শোনা যায়, এখানে শুরুতে মা দুর্গাকে কুলোয় এঁকে পুজো করেছিলেন গৃহকর্তী। এরপর থেকেই শান্তিপুরের রায় বাড়ির মা দুর্গার নামকরণ হয় কুলো দেবী। পরিবারের দাবি, ৬০০ বছরের পুরনো এই পুজোতে দেবী এখানে একাই পুজিত হন, থাকেন না তাঁর সন্তানেরা।

আরও পড়ুন :জেনে নিন কে প্রথম পৃথিবীতে দুর্গাপুজো শুরু করেছিল ?

যদি পুজোর আচারের কথা ওঠে, তবে রায় বাড়িতে তা একটু অন্য ধাঁচের। পুরনো নকশা কাটা দোতলা বাড়ি। এক অংশে কিছুটা আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে। সামনে ফাঁকা চত্বর। পাশেই রয়েছে দেবীর দালান। এই জমিদার বাড়ির দুর্গাপুজো প্রায় ৬০০ বছরের বেশি পুরনো। দেবীর রূপ সাধারণই। দশ হাতে অসুর বধ করছেন তিনি। অসুরের চেহারায় রয়েছে ভিন্নতা। হাতে খড়গের পরিবর্তে মাটির তলোয়ার দেওয়া হয় অসুরকে।

শান্তিপুরের বহু প্রাচীন রায় বাড়ির এই পুজোকে ঘিরে রয়েছে এক অজানা ইতিহাস। রায় বাড়ির এই দুর্গাপুজো অন্যান্য পুজোর থেকে হয় অনেকটাই আলাদা। দশমীর দিন দেবীকে বিদায় জানানোর সময় পায়েস মুখেই বিদায় জানানো হয়। এবারেও সেজে উঠছে রায় বাড়ি। পরিবারের পাশাপাশি বহু মানুষ এখানে ভিড় জমায়। উৎসবের এই কটা দিন মেতে ওঠে রায় বাড়ি।

আরও পড়ুন : দু্র্গাপুজোর আগেই জেনে নিন দেবীর নামের পেছনে অর্থপূর্ণ কাহিনী




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

Ratan Tata-কে শ্রদ্ধা জানাতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বাতিল করল জামশেদপুরের ৩৩২ পুজো কমিটি

বাংলাদেশের যশোরেশ্বরী মন্দিরে মা কালীকে দেওয়া মোদির সোনার মুকুট চুরি

গল্প নয় সত্যি, মাত্র এক টাকায় মিলছে নতুন জামা-কাপড় থেকে চাল-ডাল

ফের ধর্মীয় রোষ! উত্তরপ্রদেশে ‘ডাণ্ডিয়া’ অনুষ্ঠান থেকে তাড়ানো হল ‘মুসলিম’ সঞ্চালিকাকে

সাহিত্যে নোবেল পেলেন দক্ষিণ কোরিয়ার লেখক হান ক্যাং

যোগীরাজ্য গম চুরির সন্দেহে ৩ দলিত কিশোরকে মাথা ন্যাড়া করিয়ে ঘোরানো হল গ্রামে

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর