এই মুহূর্তে




১৪৩ বছরে পদার্পণ করতে চলেছে বলরাম দে স্ট্রিটের দত্তবাড়ির পুজো

Courtesy - Google




নিজস্ব প্রতিনিধি: পুরাতন কলকাতার(Kolkata) দুর্গাপুজো বলতেই যে কয়েকটি বনেদি বাড়ির নাম সবার আগে মাথায় আসে তাদের অন্যতম হল বলরাম দে স্ট্রিটের(Balaram Dey Street) দত্তবাড়ির পুজো(Dutta Family Durga Puja)। এ বাড়ির পুজো শুরু করেছিলেন শ্যামলধন দত্ত, ১৮৮২ সালে। চলতি বছর সেই দত্তদের পুজো ১৪৩ বছরে পা রাখতে চলেছে। শ্যামলধন দত্ত ছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের(Calcutta High Court) আইনজীবী। তাঁর ছোটো মেয়ে রাজলক্ষ্মী দেবীর পুত্রসন্তান হওয়ার আনন্দেই তিনি এই দুর্গাপুজো শুরু করেন। উল্টোরথের দিন কাঠামোপুজো অনুষ্ঠিত হয়। জন্মাষ্টমীর দিন কাঠামোতে প্রথম মাটি চাপানো হয়। মঠচৌড়ী পদ্ধতিতে ঠাকুর তৈরি হয় এখানে। মঠচৌড়ী, অর্থাৎ তিনটি চালা থাকে ঠাকুরের মাথায়। দুর্গা, লক্ষ্মী, সরস্বতী, কার্তিক, গণেশ ছাড়াও ঠাকুরের পাশে ছোট ছোট কুঠুরিতে শিব এবং রামের মূর্তি রাখা থাকে। প্রতিমার সিংহ অশ্বমুখী। প্রতিমার শাড়ি বাড়িতেই আঁকা হয়। দুর্গা-সরস্বতী-কার্তিক-গণেশ-অসুরের অস্ত্র রুপোর এবং দেবীকে সমস্ত পারিবারিক সোনার গহনায়(Gold Jewellery) সাজানো হয়।   

এই বাড়িতে ঠাকুরদালানে তৈরি হয় দশভুজার মূর্তি। কৃষ্ণানবমীর দিন বাড়ির মন্দিরে ঘট বসানো হয়। সে দিন থেকেই শুরু হয় চণ্ডীপাঠ। ৫ জন ব্রাহ্মণ চণ্ডীপাঠ করেন, এক জন দুর্গানাম জপ করেন, একজন ব্রাহ্মণ জপ করেন মধুসূদন নাম। পুজোর আগে টানা ১৫ দিন ধরে চলে চণ্ডীপাঠ। ষষ্ঠীর দিন থেকে একজন ব্রাহ্মণই চণ্ডীপাঠ করেন। সপ্তমীর দিন নারায়ণের কাছ থেকে দেবীপুজোর অনুমতি নিয়ে তারপর পুজো শুরু হয়। সপ্তমী অষ্টমী নবমী, তিনদিনই কুমারী পুজোহয় এখানে। সেই সঙ্গে হয় সধবা পুজো। দেবীকে মা এবং কন্যা এই দুই রূপেই পুজো করা হয়। দত্ত বাড়িতে অন্নভোগ দেওয়ার রীতি নেই। তাই সাত রকমের শুকনো ভোগ দেওয়ার নিয়ম রয়েছে। ভোগের সামগ্রীর মধ্যে ৭ রকমের মিষ্টি আর ৩ রকমের নোনতা দেওয়া হয়। মিষ্টির মধ্যে থাকে নারকেলনাড়ু, লুচি, রাধাবল্লভী, লেডিকেনি। আবার নোনতার মধ্যে থাকে নিমকি, গজা, খাস্তা কচুরি। পুজোর প্রতি দিন সকাল ও রাতে দেবীকে এই ৭ রকমের ভোগ দেওয়া হয়। সেকালের নিয়ম মেনে ষষ্ঠী ও মহাষ্টমীর দিন এই বাড়িতে নিরামিষ রান্না হয়।

দত্ত বাড়ির পুজোর সব কাজই করেন ব্রাহ্মণরাই। দশমীর দিন দর্পণে ঠাকুর বিসর্জনের পর খিচুড়ি হয় প্রতি বছর। এরপর হয় দরিদ্র নারায়ণ সেবা। এক সময় পর্যন্ত বলিপ্রথা ছিল, তবে বর্তমানে তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখনও ক্ষীরের পুতুল বানিয়ে বলি দেওয়ার রীতি রয়েছে এই দত্ত বাড়িতে। বিসর্জনের দিন কাঁধে করে মাকে নিয়ে যাওয়া হয় নিরঞ্জনের জন্য। এই ঐতিহ্য এখনও বজায় রেখে পুজো করে চলেছেন পরিবারের সদস্যরা। এই পরিবারে ঠাকুর বিসর্জনের আগে সিঁদূর খেলা হয়। বিসর্জন দিয়ে ফিরে এসে যেখানে দেবীপ্রতিমা, সিঁদূর খেলার সময় আনা হত সেখানে গরু পুজো করতেন পরিবারের সদস্যরা। কালের নিয়মে এই প্রথাও অবশ্য আর নেই।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

দশমীতে ইছামতীর তীরে জমজমাট এক দিনের বউ মেলা, তবে নিষিদ্ধ পুরুষ ক্রেতা

ফরিদপুরে একই মণ্ডপে ২৫১ দুর্গা প্রতিমা দেখতে উপচে পড়ছে ভিড়

পুজো শেষে দুপুরে জমিয়ে খান ওল-চিংড়ি: সহজ রেসিপিতে রসনা তৃপ্তি করুন ঘরেই

মুম্বইতে দুর্গার বিদায় পর্বে জমিয়ে সিঁদুর খেললেন রানি-কাজলরা

৩০০ বছর ধরে সিংহবাহিনী দেবী রূপে পুজিতা হয়ে আসছেন এই রাজবাড়িতে

পান্তা ভাত-কচু শাক খেয়ে কৈলাসে পাড়ি দেন এই বনেদি বাড়ির উমা

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর