এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

মেয়েরা তর্পণ করতে পারবেন না, শাস্ত্রে কোথাও লেখা নেই

Courtesy - Google

নিজস্ব প্রতিনিধি: পুরাণ অনুযায়ী জন্মের সঙ্গে সঙ্গে ব্যক্তির ওপর তিন ধরনের ঋণ বর্তায়। এগুলি হল – পিতৃ ঋণ, দেব ঋণ এবং ঋষি ঋণ। এর মধ্যে পিতৃ ঋণকে সর্বোপরি মনে করা হয়। এই ঋণ থেকে মুক্তির জন্য পূর্বপুরুষদের শ্রাদ্ধ করা আবশ্যক। কিন্তু শ্রাদ্ধের পরেও মৃত ব্যক্তিকে প্রতিবছর জলদান করতে হয়। সেই জলদান করার কাজই হল তর্পণ(Tarpan)। আবার সেই তর্পণ যখন তখন করা যায় না। হিন্দুধর্ম মতে, পূর্বপূরুষের তর্পণের জন্য প্রশস্ত সময় হল পিতৃপক্ষ। ভাদ্র মাসের পূর্ণিমার পরেরদিন থেকে আশ্বিন মাসের অমাবস্যা পর্যন্ত সময়কে পিতৃপক্ষ বলা হয়। সেই পিতৃপক্ষ শেষ হয় যে অমাবস্যা তিথিতে সেইদিনকেই মহালয়া(Mahalaya) বলে চিহ্নিত করা হয়। সেইদিনই তর্পণের কাজ করা সব থেকে ভাল। কিন্তু অনেকেই প্রশ্ন তোলেন মেয়েরা(Women) তর্পণের অধিকারী কিনা! সেই প্রশ্নের জবাব দিতেই এই লেখার অবতারণা।

সাধারণত মৃত ব্যক্তির পুত্রই তর্পণ করে থাকেন। তবে কোনও কোনও শাস্ত্রে মহিলাদেরও শ্রাদ্ধ করার অধিকার দেওয়া হয়েছে। যেমন পুত্র না-থাকলে, মৃত ব্যক্তির স্ত্রীর শ্রাদ্ধ করার অধিকার রয়েছে। হিন্দুধর্ম অনুযায়ী, মৃত পূর্বপুরুষের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত যে কেউ তর্পণ করতে পারেন। সাধারণত পুরুষরাই পিণ্ডদান করলেও মহিলারাও কিন্তু সমান ভাবে পিণ্ডদানের অধিকারী। রামায়ণে দশরথের মৃত্যুর পর রামের অনুপস্থিতিতে তাঁকে পিণ্ডদান করেছিলেন সীতা। মেয়েরা তর্পণ করতে পারবেন না, এমন কথা শাস্ত্রে(Scripture) কোথাও লেখা নেই বলে জানাচ্ছেন অনেক শাস্ত্রকাররাই। শ্রাদ্ধে যেমন প্রয়াত পূর্বপুরুষদের শ্রদ্ধা জানানো হয়, তর্পণও তাই। পুত্র না থাকলে মৃত ব্যক্তির মেয়ে শ্রাদ্ধকর্মের অধিকারী(Proprietor)। মহাভারতেও মেয়েদের তর্পণের নিদর্শন আছে। মহাভারতে স্ত্রী পর্বে কৌরব রমণীদের তর্পণ করার বিশেষ উল্লেখ আছে।

মৃত ব্যক্তি অবিবাহিত হলে তাঁর মা এবং বোনও শ্রাদ্ধ করতে পারেন। পুত্র শ্রাদ্ধ কর্ম করতে না-পারলে পুত্রবধূ তা করতে পারেন। পুত্র ছাড়া পৌত্র ও প্রপৌত্রও পূর্বপুরুষদের শ্রাদ্ধ কর্ম করার অধিকারী। পৌত্র বা প্রপৌত্র না-থাকলে, ভাই, ভাই-এর সন্তানরাও শ্রাদ্ধ করার অধিকারী। এ ছাড়াও মৃত ব্যক্তির মেয়ের পুত্র অর্থাৎ দৌহিত্র পূর্বপুরুষদের উদ্ধার করতে পারে। আবার ভাগ্নেও শ্রাদ্ধকর্ম করার অধিকারী। প্রিয়জনের মৃত্যুর পর তাঁর আত্মাকে মুক্তি দিতে পিণ্ডদান করা অবশ্যই প্রয়োজন বলে মনে করা হয়। হিন্দু ধর্ম অনুযায়ী পিণ্ডদান করলে আত্মা নরক যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাবে এবং আর জন্ম নিতে হবে না, অর্থাৎ কারোর নামে পিণ্ডদান করা হলে জন্ম ও মৃত্যুর এই চক্র থেকে সেই আত্মা চিরতরে মুক্তি লাভ করবেন। কালো তিল ও চালের মণ্ড বানিয়ে তা প্রয়াত পূর্বপুরুষের উদ্দশ্যে অর্পণ করা হয়। কাককে এক্ষেত্রে যমের দূত হিসেবে গণ্য করা হয়। তাই সেই মণ্ড কাক খেলে প্রয়াত পূর্বপুরুষের আত্মা শান্তিলাভ করল বলে মনে করা হয়।  

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

‘ভোট ফর মা’ এই স্লোগানে টালার অলিগলির দেওয়াল রাঙিয়ে তুললেন মহিলারা

শাশুড়ি-বউমার সম্পর্ক কেমন হওয়া উচিত?

জানেন কী, ভূত চতুর্দশী কেন পালিত হয়, ১৪ শাকই বা কেন খাওয়া হয়?

কালীপুজোর রাতে প্রদীপের শিখাতে ঘুরবে ভাগ্যের চাকা

কালীপুজোর দিন রাতে আগুন এড়াতে এই ধরণের পোশাক পরুন..

লোহা এবং ফাইবার দিয়ে তৈরি হচ্ছে ৮০ ফুটের কালী প্রতিমা, জনজোয়ারে ভাসবে ব্যারাকপুর

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর