নিজস্ব প্রতিনিধি: রাত পোহালেই কাল মহালয়া। মহালয়ায় অবসান হয় পিতৃপক্ষের, আর সূচনা হয় দেবীপক্ষের। কথিত আছে, এদিন পূর্বপুরুষরা মর্ত্যে নেমে আসেন তাঁদের বংশধরদের হাতে জল পেতে। যাতে তাঁরা মসৃণভাবে পরলোকে যাত্রা করতে পারে। তাই পিতৃপক্ষের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিনটি হল মহালয়া। এদিনটার আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ রীতি দেবী দুর্গার চক্ষুদান।
মহালয়া পালিত হবে আগামী ১৪ অক্টোবর শনিবার। অন্যদিকে অমাবস্যা তিথি শুরু হবে ১৩ অক্টোবর শুক্রবার রাত ৯টা ৫১ মিনিটে এবং অমাবস্যা ছাড়বে শনিবার রাত ১১টা ২৫ মিনিটে। তবে এবার সর্বপিতৃ অমাবস্যা এক বিশেষ যোগে পালিত হবে। কারণ ১৪ অক্টোবর এই বছরের শেষ সূর্যগ্রহণ। সুতরাং আগামিকাল শনিশ্চরী অমাবস্যা গণ্য হবে। দেশের অনেক জায়গাতেই এই দিনটি পিতৃ অমাবস্যা, মহালয়া অমাবস্যা বা পিতৃ মোক্ষ অমাবস্যা নামে পরিচিত হবে।
এদিন প্রয়াত সমস্ত পূর্বপুরুষের মধ্যে যদি কারোর মৃত্যুর পর শ্রাদ্ধ না করা হয়ে থাকে, তাহলে তাঁর নামেও এদিন শ্রাদ্ধের কাজ সম্পন্ন করা যায়। মহালয়ায় তর্পণের পদ্ধতি অনুযায়ী, এদিন পুরোহিতের সাহায্য নিয়ে গঙ্গার ঘাটে বহু মানুষ এদিন তর্পণ করে থাকেন। এছাড়া আপনি যদি গঙ্গার ঘাটে না যেতে পারেন বাড়িতেও নিজে তর্পণ করতে পারেন। এক্ষেত্রে এদিন ভোরে ঘুম থেকে উঠে স্নান করে সাদা রঙের শুদ্ধ পোশাক পরুন। এরপর পিতৃপুরুষদের স্মরণ করে সূর্যের উদ্দেশ্যে জলের অর্ঘ্য নিবেদন করুন।
এরপর ক্ষীর, পুরী ও সবজি প্রস্তুত করুন ব্রাহ্মণ ভোজনের জন্যে, এরপর তাঁদের খাইয়ে তারপর নিজেও প্রসাদ খান। তবে এদিন বাড়ির সব সদস্যের একসঙ্গে খাবার খাওয়া জরুরি। খাবার বেড়ে প্রথমে পিতৃপুরুষদের আত্মার শান্তি কামনা করে তারপর খাবার গ্রহণ করুন। এছাড়া এদিন কাক, গরু ও কুকুরকে খাবার খাওয়ানো খুব ভাল।