নিজস্ব প্রতিনিধি: পঞ্চমী শেষ। রাত পোহালেই ষষ্ঠী। যদিও কলকাতায় মহালয়া থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে দুর্গা পুজো। কিন্তু দুর্গাপুজোর আসল রেশ কিন্তু ষষ্ঠী থেকেই। হিসেব মতো পঞ্চমীতে মা ঢোকে প্রতিটি মণ্ডপে। কিন্তু এবার মহালয়ার আগেই কলকাতার বেশিরভাগ পুজো মণ্ডপেই ঢুকে গিয়েছে উমা। যাই হোক, যতই লোকজন ভিড় জমাক মায়ের বোধন ষষ্ঠীর সন্ধ্যায়। কিন্তু কলকাতায় বোধনের আগেই শুরু হয়ে গিয়েছে উৎসব। যাই হোক, ষষ্ঠীর দিন নিজেকে কীভাবে সাজাবেন ভেবে দেখেছেন কী? কেমন হবে ষষ্ঠীর সকালের সাজ, কী পোশাক পরবেন, কেমন হবে মেক-আপ, এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক।
মেয়েদের পোশাক
বিধি অনুসারে ষষ্ঠীর সকালে অনেক অফিস খোলা থাকে। অনেকের ছুটি পরবে ষষ্ঠীর পর। তাই সকালটা দারুন সেজেগুজে অফিসে যাওয়া যেতেই পারে। সেই কারণে বেছে নিন শাড়ি, কিম্বা সালোয়ার বা একেবারে পশ্চিমা কোনও পোশাক যেমন জিনস-টপ বা স্কার্ট। কিন্তু সাজগোজ মানানসই হওয়া চাই। হালকা সুতির পোশাকের মধ্যে প্যাস্টেল শেডের উজ্জ্বল পোশাক পরা যেতে পারে। শাড়ি পরলে তার সঙ্গে টিম-আপ করে নেওয়া যেতে পারে। আবার শার্টের সঙ্গে অন্য দিনের মতো প্যান্ট না পরে একটা লং বা মিড লেন্থ এথনিক স্কার্টও বেছে নিতে পারেন।
মেক-আপ
ষষ্ঠীর সকালে চড়া মেক-আপ করলে মোটেও জমবে না। তাই হালকা বেস মেক-আপে চোখের কাজল, ঠোঁটের রঙে রাঙিয়ে নিন। তবে একটু সুগন্ধী দিনটিকে আলাদা করে দিতে পারে অন্য কাজের দিনের থেকে।
নিজেকে সকলের থেকে আলাদা করবেন কী করে?
ষষ্ঠীর দিনের জন্য থাক একটা বেল্ট। চামড়ার যে কোমর বন্ধনীখানা প্রায় রোজই প্যান্টের সঙ্গে পরা হয়, সেটিই শাড়ির অবাধ্য প্লিটে বেঁধে ফেলুন। লং স্কার্টের ভিতরে টি-শার্ট বা শার্ট গুঁজে পরলেও বেশ দেখাবে। সে ক্ষেত্রে অন্য অ্যাকসেসারিজ একটু কম পরুন। ঝোলা কানের দুল পরা যাক। গলা থাক খালি।
ছেলেদের পোশাক
অফিসে কি আর সেজে যাওয়া যায়! তাই যেমন রোজের প্যান্টের উপর একটু অন্য রকমের শার্ট পরুন। স্ট্রাইপ, চেক, সলিডের বাইরে এথনিক মোটিফের শার্টও বেছে নিতে পারেন। আজকাল বাগরু, ডাবু, কলমকারি, ব্লক প্রিন্ট মাত করে রেখেছে পুরুষের শার্টের বাজার।