নিজস্ব প্রতিনিধি, কাটোয়া: খড়-মাটি ছাড়াও অনেকে বিভিন্ন উপাদান দিয়ে দেবী দুর্গার প্রতিমা গড়ে তোলেন। তাই বলে কাগজ! শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্য়ি করে দেখালেন কাটোয়া শহরের পাবনা কলোনি এলাকার বাসিন্দা রোশমী পাল। তাঁর তৈরি কাগজের দুর্গা স্থান পেয়েছে পাড়ার পুজো মণ্ডপে।
কাটোয়ার বাসিন্দা হলেও রোশমী পাল শিক্ষকতা করেন উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ার একটি স্কুলে। স্বামী আশিস পালও কর্মসূত্রে উত্তরবঙ্গের শিলিগুড়িতে থাকেন। তিনি আবগারি দফতরে কর্মরত। স্বামীর অফিস চললেএ করোনা আবহে দীর্ঘদিন বন্ধ স্কুল। বাড়ির নানা কাজ সামলেও হাতে অনেকটা সময় থেকে যেত। সেই সময়ে নানা ধরনের হাতের কাজ করতেন শিক্ষিকা রোশমী পাল। বর্ধমানের বাড়ি ফিরেই কাগজ দিয়ে দুর্গা তৈরির সিদ্ধান্ত নেন তিনি। ব্যস! যেমন ভাবনা, তেমন কাজ।
পেপার ক্লে, আর্ট পেপার, রঙিন কাগজ কিনে এনে কাটাকুটি শুরু হয়ে যায় তখনই। মাত্র ২০ দিনেই আড়াইফুটের দুর্গা প্রতিমা গড়ে তোলেন তিনি। রয়েছে লক্ষ্মী, গণেশ, কার্তিক, সরস্বতীও। একচালা, চওড়ায় দু’ফুট। প্রতিমায় আগাগোড়া সাবেকিয়ানার ছোঁয়া। রোশমী পাল বলেন, ‘অতিমারির কারণে দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ। বাড়িতে বসে সময় কাটানো একপ্রকার দুরহ হয়ে ওঠে।
সময় কাটাতে প্রথমদিকে একাধিক খেলনা তৈরি করতাম। এরপরই দুর্গা প্রতিমা গড়ার সিদ্ধান্ত নিই।’ কাগজ দিয়ে তৈরি ওই প্রতিমাটিকে পাবনা কলোনি পুজো কমিটির মণ্ডপে বসানো হয়েছে। সম্পাদক দীপক সাহা বলেন, ‘আমাদের মাটির প্রতিমার পাশেই কাগজের প্রতিমাটি রয়েছে। এমন হাতের কাজ, এটা শুধু শিক্ষিকার নয় আমাদের সকলের গর্ব।’