নিজস্ব প্রতিনিধি: আগামী রবিবার বহু প্রতীক্ষিত বলিউড ও রাজনীতির বিয়ে। অর্থাৎ হেভিওয়েট দম্পতি পরিণীতি চোপড়া এবং আপনেতা রাঘব চাড্ডার বিয়ে। গত ১৭ সেপ্টেম্বর থেকেই তাঁদের পরিবারে শুরু হয়ে গিয়েছে বিয়ের তোড়জোড়। আগামিকাল তাঁদের মেহেন্দি ও সংগীত অনুষ্ঠান। আর বিয়ের জন্যে আজ সকাল সকাল রাজস্থানের উদয়পুরে উড়ে গেলেন তারকা জুটি ও তাঁদের পরিবার। রাজস্থানের উদয়পুরের লীলাবতী প্যালেসে বিয়ে হচ্ছে রাগনীতির। ইতিমধ্যেই হোটেল লীলাবতী প্যালেস সেজে উঠেছে রাগনীতির বিয়ের ব্যানারে। তাঁদের বিয়ের জন্যে আর অপেক্ষা করতে পারছেন না ভক্তরাও। আজ সকালে, দিল্লি বিমানবন্দরে দেখা মিলেছিল হবু দম্পতির। যেহেতু রাজনীতি এবং বলিউডের মিশেল তাই তাঁদের বিয়েতে একাধিক হেভিওয়েট ব্যক্তিত্বরা থাকবেন, তা বলা দায়! তাঁদের বিবাহের স্থান হোটেল লীলা প্যালেসে কঠোর নিরাপত্তা রাখা হয়েছে। বিয়ের দিন রাঘব অন্য হোটেল থেকে লীলা প্যালেসে যাবেন নৌকায় করে, মেওয়ারি স্টাইলে সজ্জিত হবে সেই নৌকো।
সূত্রের খবর, তাঁদের জমকালো বিয়ের অনুষ্ঠানস্থলে ১০০ ব্যক্তিগত নিরাপত্তা রক্ষী মোতায়েন করা হয়েছে। বিয়ের গন্তব্য, হোটেল লীলা প্যালেস, পিচোলা লেকের মাঝখানে নির্মিত। লেকের মাঝখানে চার থেকে পাঁচটি নৌকায় নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন থাকবে। এছাড়াও হোটেলের জেটিতে (নৌকা না পৌঁছানো পর্যন্ত প্ল্যাটফর্ম নির্মিত) বিশেষ নিরাপত্তাও মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়াও তাঁদের বিয়ের গোপনীয়তা বজায় রাখতে একটি চুক্তি করা হয়েছে। হোটেলের পুরো নিরাপত্তা ব্যবস্থাই পরিবর্তন করা হয়েছে। স্টাফ ছাড়া অন্য কেউ হোটেলে এলে সেই ব্যক্তির সম্পূর্ণ স্ক্যান করা হবে। নিরাপত্তার স্বার্থে নগরীর ১৫টি স্থানে অবরোধ পয়েন্টও তৈরি করেছে পুলিশ। সেখানে নিরাপত্তার পূর্ণ নজরদারি থাকবে। পরিণীতি ও অন্যান্য অতিথিদের বিমানবন্দর থেকে হোটেল পর্যন্ত বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থাও করা হয়েছিল। পুলিশ ও অতিরিক্ত বাহিনী ছাড়াও বিমানবন্দরে ব্যক্তিগত গার্ড মোতায়েন করা হবে। হোটেল সূত্রে খবর, রাজকীয় বিয়ের ছবি ও ভিডিও যাতে ফাঁস না হয় সেজন্য বিশেষ প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। হোটেলে প্রবেশকারীদের মোবাইল ক্যামেরায় নীল রঙের টেপ সাঁটানো হবে যাতে তাঁরা বিয়ের অনুষ্ঠানে কোনো ভিডিও বা ছবি তুলতে না পারে।
মজার ব্যাপার হল, এই নীল টেপের বিশেষ বৈশিষ্ট্য হল, এটি মোবাইল ক্যামেরায় লাগানো হলে, কেউ এটি সরিয়ে ফেললেও টেপের উপর একটি তীরচিহ্ন দেখা যাবে। এর সাহায্যে নিরাপত্তার মাধ্যমে চেক করলেই জানা যাবে ক্যামেরা ব্যবহার করার জন্য টেপটি সরানো হয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞা বিশেষ করে হোটেল কর্মীদের পাশাপাশি তাঁবু, সাজসজ্জা, সাউন্ড সিস্টেম, খাবার প্রস্তুতকারী শেফ ইত্যাদির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে৷ জানা গিয়েছে, এই হোটেলের কর্মীরা এবং অন্যান্য কর্মচারীরা তিন দিনের জন্য বাইরে যেতে পারবেন না৷ পরিণীতি চোপড়াকে কনে হিসেবে সাজাতে মেক-আপ আর্টিস্ট এবং মেহেন্দি দল আসছে দিল্লি থেকে। এছাড়া ১২ জনেরও বেশি প্রাইভেট ফটোগ্রাফার এবং ভিডিওগ্রাফার বিয়ের স্মরণীয় মুহূর্তগুলো ধারণ করবেন। তারাও আসবে দিল্লি থেকে। অনেক হাই প্রোফাইল অতিথি তাঁদের বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান ছাড়াও দেশের অন্যান্য রাজনীতিবিদরাও এই রাজকীয় বিয়েতে যোগ দেবেন। দিল্লি এবং পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীরা ২৩ সেপ্টেম্বর, শনিবার সন্ধ্যায় উদয়পুরে পৌঁছাবেন।
এছাড়াও পরিণীতি চোপড়ার চাচাতো বোন প্রিয়াঙ্কা চোপড়াও আসবেন। করণ জোহর, টেনিস খেলোয়াড় সানিয়া মির্জা, ডিজাইনার মনীশ মালহোত্রাও অতিথি তালিকার একটি অংশ। হোটেল লীলা প্যালেসে যেতে হলে দুধতলাইতে একটি জেটি আছে। অতিথিরা শুধুমাত্র এই জেটির মাধ্যমে হোটেলে পৌঁছাতে পারবেন। ২৩ এবং ২৪ সেপ্টেম্বর, বিয়ের জন্য পুরো হোটেল বুক করা হয়েছে।