নিজস্ব প্রতিনিধি: এখনও সুস্থ হয়ে ওঠেননি তিনি, হাঁটুর চোট নিয়েই শুটিং চালিয়ে যাচ্ছেন অভিনেতা অক্ষয় কুমার। এতটাই পরিশ্রমী তিনি। স্কটল্যান্ডে ‘বড়ে মিঞা ছোটে মিঞা’ ছবিতে অ্যাকশন দৃশ্যে শুটিংয়ের সময়েই সম্প্রতি চরম আঘাত পেয়েছেন অভিনেতা। তাঁর পায়ে এখনও ব্যান্ডেজ করা, কিন্তু তার মধ্যেও শুটিং চালিয়ে গিয়েছেন বলে খবর। এর মধ্যেই আবারও দুঃখের খবর, মোটামুটি সবাই জানেন, অক্ষয় কুমার খুব শীঘ্রই মহেশ মাঞ্জরেকরের মারাঠি পিরিয়ড ড্রামা ‘বেদাত মারাঠে বীর দাউদালে সাত’-ছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমে মারাঠি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে ডেবিউ করতে চলেছেন। যেখানে অক্ষয় কুমার ছত্রপতি শিবাজি মহারাজের চরিত্রে অভিনয় করবেন এবং, ছবিটি প্রযোজনা করছেন ভাসিম কুরেশি। এবার এই ছবির সেটেই ঘটল দুর্ঘটনা। রিপোর্ট অনুযায়ী, সম্প্রতি ছবির একজন পুরুষ ক্রু সদস্য নাগেশ প্রশান্ত শুটিংয়ে যোগ দিয়েছিলেন। শুটিংয়ে দুর্ঘটনাক্রমে পানহালা ফোর্টের সাজ্জা কোঠি থেকে পড়ে যান নাগেশ।
জানা যায়, শুটিংয়ের জন্য ব্যবহৃত ঘোড়াগুলির যত্ন নেওয়ার জন্য তাঁকে নিযুক্ত করা হয়েছিল। পড়ে গিয়ে তিনি মাথায় ও বুকে গুরুতর আঘাত পেয়েছেন। এবং চিকিৎসার জন্য কোলহাপুরের একটি হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করানো হলেও ১০ দিনের মাথায় তিনি মারা যান। খবরে বলা হয়েছে, নাগেশ ফোনে কথা বলার সময় ব্যালেন্স হারিয়ে সাজ কোঠির প্রাচীর থেকে পড়ে যান। জানা যায়, ছবিতে যোগদানের আগে প্রযোজনা দল নাগেশের পরিবারকে আশ্বাস দিয়েছিল যে তাঁরা চিকিৎসার ব্যয় বহন করবে। কিন্তু তাঁরা নাগেশের চিকিৎসার জন্য কোনো টাকা দেয়নি বলে অভিযোগ। প্রযোজনা দলের এই আচরণে নাগেশের পরিবার ক্ষুব্ধ।
পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, যতক্ষণ না দল টাকা দেয় ততক্ষণ পর্যন্ত তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে না। এখনও অবধি, প্রযোজনা দল বা পরিচালক মহেশ মাঞ্জরেকার এই বিষয়ে কোনও বিবৃতি শেয়ার করেননি। চলচ্চিত্রটি ১৬৭৪ সালে সাতজন মারাঠা অফিসারের দ্বারা দেখানো অসাধারণ সাহসিকতার কাহিনী প্রদর্শন করে। তাঁরা হলেন ভিসাজি বল্লাল, দীপোজি রাউতরাও, বিঠল পিলাজি আত্রে, কৃষ্ণজি ভাস্কর, সিদ্ধি হিলাল, বিঠোজি শিন্ডে এবং সারনৌবত কুদতোজি ওরফে গুতারা। ছবিটি ২০২৩ সালের দীপাবলিতে মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে।