নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: গত ৭ জানুয়ারী শেষ হয়েছে বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। যেখানে বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লীগ। ভোটে জিতে চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রীর সিংহাসনে বসেন শেখ হাসিনা। যাই হোক, অভিনেতা ফেরদৌস আহমেদও প্রধান মন্ত্রীর দলের হয়ে দাঁড়িয়ে বিপুল পরিমাণে ভোটে জয়ী হন এবং নব নির্বাচিত সাংসদ হন। সম্প্রতি শুরু হয়েছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রি। যা নিয়ে রীতিমতো সরগরম হয়ে উঠেছে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়। আর পাঁচটা আওয়ামী লীগের সদস্যের পাশাপাশি এদিন মনোনয়ন ফরম কেনার জন্যে লাইনে ভিড় জমিয়েছিলেন একাধিক নায়িকারা। মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রি করছিল আওয়ামী লীগ। যা বসেছিল কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে।
এদিন সংরক্ষিত নারী আসনের জন্যে ফরম কিনতে এসেছিলেন ঢালিউড ইন্ডাস্ট্রির একাধিক অভিনেত্রীরা। যার মধ্যে ছিলেন সোহানা সাবা, নিপুন আক্তার, অপু বিশ্বাস প্রমুখ। এদিন সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত দেশের ৮টি বিভাগের ১৭১টি মনোনয়ন ফরম বিক্রি হয়েছে। এদিন দ্বাদশ সাংসদ নির্বাচনে সংরক্ষিত নারী আসনের মনোনয়ন ফরম বিক্রিকে কেন্দ্র করে রীতিমতো উৎসব মুখর পরিবেশ গড়ে উঠেছিল কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে। তিল ধারণের জায়গা ছিল না। কার্যালয়ের সামনে বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এদিন আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি ঢাকাই ইন্ডাস্ট্রির তিনজন অভিনেত্রী সংরক্ষিত নারী আসনের জন্য মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন।
যাদের মধ্যে ছিলেন, অভিনেত্রী সোহানা সাবা, অপু বিশ্বাস এবং নিপুণ আক্তার। যদিও তাঁরা কেউই একসঙ্গে আসেননি, ১ ঘন্টা সময়ের ব্যবধানে তাঁরা মনোনয়ন ফরম কিনেছেন। সকাল ১০ টার সময় আসেন সোহানা সাবা, এরপর ১১ টার সময় আসেন নিপুণ আক্তার এবং ১২ টার সময় জন অপু বিশ্বাস। শেখ হাসিনার একজন বড় ভক্ত অপু বিশ্বাস। একটি ছবিতেও তিনি মাত্র ১০০ টাকার বিনিময়ে শেখ হাসিনার চরিত্রে অভিনয় করতে চলেছেন। এছাড়াও দ্বাদশ সাংসদ নির্বাচনের আগে প্রচারেও থাকতে দেখা গিয়েছিল অভিনেত্রীকে।
এর আগে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে জানানো হয়েছিল, কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের দ্বিতীয় তলায় ঢাকা, ময়মনসিংহ, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগ এবং তৃতীয় তলায় রংপুর, রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের মনোনয়ন ফরম বিতরণ করা হবে। আর তা উপযুক্ত স্থানে জমা দিতে হবে। অতিরিক্ত লোক নয়, প্রার্থী বা প্রার্থীর একজন যোগ্য প্রতিনিধি শুধুমাত্র আবেদনপত্র সংগ্রহ ও জমা দিতে পারবে। সংসদে সংরক্ষিত নারী আসন ৫০টি। আওয়ামী লীগ এবং স্বতন্ত্রদের মিলে ৪৮ জন সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য পাবে।