নিজস্ব প্রতিনিধি: শনিবার মধ্যরাতে ক্রুজ শিপ থেকে গ্রেফতার করা হয় শাহরুখ-পুত্র আরিয়ানকে। সেখান থেকে আরও ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রবিবার জেজে হাসপাতালে মেডিক্যাল পরীক্ষা করা হয় ৩ জনের, যাদের মধ্যে রয়েছেন অভিনেতা আরবাজ শেঠ মার্চেন্ট এবং দিল্লির ফ্যাশন ডিজাইনার মুনমুন ধামেচাকে।
এই তিনজন ছাড়াও আটক ব্যক্তিদের তালিকায় নাম রয়েছে নুপূর সারিকা, ইশমিত সিং, মোহক জয়সওয়াল, বিক্রান্ত চোকার, গোমিত চোপড়ার। প্রত্যেকেই বিত্তশালী পরিবারের সন্তান। মোহক, নুপূর ও গোমিত তিনজন দিল্লির বাসিন্দা, বাকিরা থাকেন মুম্বইয়ে।
এনডিপিএস আইনের ৮সি, ২০বি, ২৭ এবং ৩৫ নম্বর ধারায় গ্রেফতার করা হয়েছে আরিয়ান খানকে। আরিয়ানের সঙ্গে মিলেছে নিষিদ্ধ মাদক ও নগদ ১ লক্ষ ৩৩ হাজার টাকা। ১৩ গ্রাম কোকেন, ২১ গ্রাম চরস, ২২টি এমডিএমএ পিলস সঙ্গে ছিল আরিয়ানের।
এদিন জেরা করার পর উঠে এসেছে বেশ কিছু তথ্য, যেখানে নিজের মুখে মাদক সেবন করার কথা স্বীকার করেছেন অভিনেতা-পুত্র। পাশাপাশি জানা গিয়েছে, ৪ বছর ধরে মাদক সেবন করত আরিয়ান। আজ সকালে ওই ক্রুজশিপটিতে ফের তল্লাসি চালানো হয়। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় ক্রু সদস্যদেরও।
এনসিবি সূত্রে খবর, স্যানিটারি প্যাড, ওষুধের বাক্স, জামাকাপড়, অন্তর্বাসের সেলাইয়ের মধ্যেও রাখা ছিল মাদক। খুব সহজে যাতে মাদকের হদিশ না পাওয়া যায়, মূলত সেই কারণেই সেগুলিকে এমন সব জায়গায় লুকিয়ে রাখা হয়েছিল বলে অনুমান তদন্তকারীদের। এই ঘটনায় আরও কারা যুক্ত, কোথা থেকে এত পরিমাণ মাদক এল, কারা তা নিয়ে প্রমোদতরীতে গেলেন—এ সবই তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।