নিজস্ব প্রতিনিধি: এত অপেক্ষা, এত প্রচারের পরেও সমালোচকদের কাছে সাড়া ফেলতে ব্যর্থ সানি দেওল এবং আমিশা প্যাটেল অভিনীত ‘গদর 2’ এবং অক্ষয় কুমার এবং পঙ্কজ ত্রিপাঠি অভিনীত ‘ওএমজি 2’। সমালোচক এবং দর্শকদের দ্বারা ব্যপক সমালোচনার শিকার দুটিই ছবি। অনিল শর্মা পরিচালিত ‘গদর 2’-নিয়ে ভক্তদের মধ্যে উত্তেজনা তুঙ্গে ছিল, কারণ ২০০১ সালে ‘গদর’-এর মুক্তির পর প্রায় ২২ বছর পর রিলিজ করল ‘গদর 2’, তাই বক্সঅফিসে তারা-সাকিনার লাভ লাইফ দেখার জন্য আলাদাই উন্মাদনা ছিল ভক্তদের মধ্যে। অন্যদিকে ২০১২ সালে ‘OMG’-এর প্রায় ১১ বছর পর ‘OMG 2’-নিয়ে ভক্তদের মধ্যে ব্যপক উত্তেজনা ছিল, কিন্তু ভক্তদের সব প্রত্যাশায় জল ঢেলে দিল ছবির কাহিনী। ২০০১-সালের গদর-এর সবচেয়ে জনপ্রিয় দুটি গান, ‘ঘর আজা পরদেশী’ এবং ‘মে নিকলা গাদ্দি লেকে’ গানগুলি ঘিরেই ব্যপক উত্তেজনা ছিল। কিন্তু ছবির একই ধাঁচের কাহিনী ভালো লাগল না দর্শকের। গদর 2- গল্প বলছে, নির্ভীক ট্রাক ড্রাইভার তারা সিং ছেলেকে, খলনায়ক পাকিস্তানি জেনারেলের খপ্পর থেকে উদ্ধার করতে, পাকিস্তানে যায়। তখনই তাঁর ছেলে, চরণজিৎ “জিতে” সিং (উৎকর্ষ শর্মা, যিনি 7 বছর বয়সে গদরে তারা সিং এবং সাকিনার সন্তানের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন)কে পাথর দিয়ে হত্যা করা হয়। গদর 2- এর মধ্যে নতুনত্ব কিছু খুঁজে পায়নি দর্শক। সমালোচকের দ্বারা ‘গদর 2’ কঠোরভাবে তৃতীয় শ্রেণীর ছবি হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে এবং রেটিং-এ ছবির দর মাত্র ২ টি স্টার।
‘ওএমজি 2’
অন্যদিকে অক্ষয় কুমারের বহু আসন্ন চলচ্চিত্র ‘OMG 2’-নিয়েও ভক্তদের মধ্যে উন্মাদনা ভরপুর ছিল। গত ২ বছর ধরে সুপারস্টারের বেশিরভাগ ছবিই মোটামুটি ফ্লপের তকমা বহন করেছে। তাই ‘Omg2’ নিয়ে বেশ বড়সড় আকর্ষণ ছিল নায়কের ভক্তদের, বিশেষত পঙ্কজ ত্রিপাঠি ছবির মূল আকর্ষণ ছিল। কিন্তু প্রত্যাশা ব্যর্থ হল। যদিও ছবি মুক্তির আগে সেন্সর বোর্ড অনেক ভাবনাচিন্তা করেই ছবির শংসাপত্র দিয়েছে। কিন্তু ভগবান শিবের চরিত্রে অক্ষয়কে মেনে নিতে পারেননি অনেকেই। ছবির গল্প অনুযায়ী, স্কুলের টয়লেটে উল্টোপাল্টা ভিডিও দেখায় ছেলেকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় তাঁর বাবাও ছিল তার উপর বিরক্ত। এরপর তাঁদের প্রতিবেশীরা তাঁদের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করে। আর ছেলেটির বাবা, ভগবান শিবের একজন অদম্য ভক্ত ছিলেন, এরপর তিনি পবিত্র শহর ছেড়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন, এরপর আর সামনে দর্শন হয় ভগবান শিবের একজন দূতের। এরপর তিনি ছেলের পক্ষ নিয়ে আইনি লড়াই করতে সামর্থ্য হয়। এরপর তিনি ছেলের অযৌক্তিক রাস্টিকেশন প্রত্যাহার করার দাবি তোলেন। কিন্তু কান্তি কোনও আইনজীবীর দ্বারা প্রতিনিধিত্ব হতে রাজি নন, এরপর নিজেই নিজের আইনজীবী হয়ে ওঠেন। অমিত রাই (তিনি 13 বছর আগে রোড টু সঙ্গম তৈরি করেছিলেন) রচিত ও পরিচালনা করেছেন ওএমজি 2।
এক স্তরে, ছবিটিকে একটি প্রাসঙ্গিক কোর্টরুম ড্রামা হিসাবে বিবেচনা করা হয়েছে, অন্যদিকে অত্যধিক, জটিল, সরল ব্যঙ্গাত্মক ও কমেডির আকার দেওয়া হয়েছে। ছবির শেষের দিকের একটি দৃশ্যে তিনি আরেকটি অলৌকিক কাজ করেন। সব মিলিয়ে OMG 2, অন্ধ বিশ্বাসকে সমর্থন করে। এটি স্কুলে যৌন শিক্ষার জন্য একটি বৈজ্ঞানিক, ক্লিনিকাল পন্থা অবলম্বন করার পক্ষে যুক্তিও তুলে ধরেছে। যদি OMG 2- এর নির্মাতারা জানতেন, কোথায় লাইন আঁকতে হবে এবং কী হাইলাইট করতে হবে এবং কী আগাছা বের করতে হবে, তাহলে তাঁরা ছবিটিকে আরও সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারতো। সংক্ষেপে বলা চলে OMG2 দর্শকদের প্রশংসা কুড়িয়ে নিতে ব্যর্থ হয়েছে। এবং রেটিং-এ ২ স্টার অর্জন করেছে।