নিজস্ব প্রতিনিধি: সেলিব্রিটিদের কেচ্ছা নতুন নয়। মাঝে মধ্যেই তাঁরা ভিন্ন ভিন্ন কারণে আইনি মারপ্যাঁচে জড়িয়ে পড়ছেন সেটাও নতুন নয়। এর আগে অভিনেতা সলমন খান থেকে শুরু করে সঞ্জয় দত্ত, আইনি জটিলতায় জড়িয়েছেন। হাজতবাসও করেছেন।আসলে সেলিব্রিটিদের চুন থেকে পান খসলেই বিতর্ক শুরু হয়ে যায়। আর এখন তো ট্রেন্ডিং-এ চলছে মাদক-দ্রব্য পাচার। সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর থেকেই এই নিয়ে বেশি মাথাচারা দিয়ে উঠছে। সেই সময়ে বেশ কয়েকজন অভিনেত্রীকে মাদকচক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে ইডির কাছে হাজিরা দিতেও হয়েছিল। এরপর আরিয়ান খান এবং শক্তি কাপুরের ছেলে এবং শ্রদ্ধা কাপুরের ভাই অভিনেতা সিদ্ধান্ত কাপুরের সঙ্গে একই কাণ্ড হল। দেখে নিন, বলিউডের কোন কোন তারকা এহেন মাদকের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে তদন্তের আওতায় এসেছেন! এমনকী তাঁদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করাও হয়েছিল।
সিদ্ধান্ত কাপুর: শক্তি কাপুরের ছেলে এবং শ্রদ্ধা কাপুরের ভাই অভিনেতা সিদ্ধান্ত কাপুরকে গতকাল বেঙ্গালুরুর একটি হোটেলের রেভ পার্টি থেকে পুলিশের অভিযানের পরে আটক করা হয়েছে।
রিয়া চক্রবর্তী: ২০২০ সালের জুনে সুশান্ত সিং রাজপুতের অপ্রত্যাশিত মৃত্যুর পরে, তাঁর বান্ধবী অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তী সহ বেশ কয়েকজন বলিউড সেলিব্রিটিকে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়েছিল৷ তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল যে, মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার। দীপিকা পাড়ুকোন, সারা আলি খান, রাকুল প্রীত সিং, এবং শ্রদ্ধা কাপুরকেও এই মামলার অংশ হিসাবে এনসিবি-র জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে হয়েছিল কিন্তু তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও আইনি অভিযোগ আনা হয়নি। এছাড়া অর্জুন রামপাল এবং তাঁর বান্ধবী গ্যাব্রিয়েলা ডেমেট্রিয়েডসকেও তলব করা হয়েছিল কিন্তু তাঁদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল৷ এদিকে, রিয়াকে সেপ্টেম্বরে এনসিবি গ্রেফতার করেছিল৷ তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল যে, যে তিনি এবং তাঁর ভাই সুশান্তকে গাঁজা সরবরাহ করেছিলেন। এই ঘটনার প্রায় এক মাস পরে গত ৭ অক্টোবর জামিনে মুক্তি হন তিনি। তাঁকে এখনও এই বিষয়ে ক্লিন চিট দেওয়া হয়নি।
আরিয়ান খান: আরেকটি বড় মাদক বিতর্ক, যা রীতিমতন বলিউডকে নাড়া দিয়েছিল। গত বছর শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ান খানকে গ্রেফতার করা হয় একটি বিলাসবহুল প্রমোদতরীতে অভিযান চালিয়ে। মাদক উদ্ধার জনিত অভিযোগে তাঁকে প্রায় এক মাস হেফাজতে রাখা হয়েছিল। শেষমেশ এনসিবি চার্জশিটে তাঁকে অভিযুক্ত হিসেবে উল্লেখ না করায়, গত মাসে তাঁকে ক্লিন চিট দেওয়া হয়।
প্রতীক বব্বর: অভিনেতা-রাজনীতিবিদ রাজ বব্বর এবং প্রয়াত অভিনেত্রী স্মিতা পাতিলের ছেলে প্রতীক বব্বর। ২০২০ সালে মাদক আসক্তির বিরুদ্ধে প্রতীক, তাঁর যুদ্ধের বিষয়ে নিজেই মুখ খোলেন। তিনি স্বীকার করেছেন যে, তিনি মাদকের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে অভিযুক্ত ছিলেন, তখন তাঁর বয়স ছিল ১৩।
সঞ্জয় দত্ত:অভিনেতা সঞ্জয় দত্তকে ১৯৮২ সালে মাদকদ্রব্য রাখার জন্য গ্রেফতার করা হয়েছিল, এবং মাদকদ্রব্যের অপব্যবহারের সঙ্গে তাঁর সংগ্রামের বিষয়ে খোলামেলা ছিলেন। তিনি স্বীকার করেছেন যে, তিনি বেশ কয়েক বছর ধরে মাদক আসক্ত ছিলেন। আর এর থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্যে তাঁকে আমেরিকা যেতে হয়েছিল।
ফারদিন খান: অভিনেতা ফারদিন খান, যিনি ১২ বছরের দীর্ঘ বিরতির পর খুব শীঘ্রই বলিউডে প্রত্যাবর্তন করতে চলেছেন। ২০০১ সালে তিনি মুম্বাইয়ে কোকেন কেনার চেষ্টা করার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন। যদিও তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগগুলি ২০১২ সালে প্রত্যাহার করা হয়েছিল।
আরমান কোহলি: অভিনেতা এবং বিগ বস অ্যালামকে ২০২১ সালের আগস্টে গ্রেফতার করা হয়, মাইক অভিযোগে। এনসিবি অভিনেতার বাড়িতে একটি অভিযান চালিয়ে তাঁর বাসভবন থেকে মাদক উদ্ধার করার পরেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। যদিও তাঁর বাড়ি থেকে কর্মকর্তারা অল্প পরিমাণ কোকেন উদ্ধার করেছিলেন এবং অভিনেতাকে মদ্যপ অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল বলে জানা গিয়েছে।