নিজস্ব প্রতিনিধি: বর্তমানে খবরের শিরোনামে সলমন খান। লরেন্স বিষ্ণোইয়ের ছোবল এখনও তাঁকে ধাওয়া করছে। যদিও কিছুদিন আগেই তাঁকে ইমেলের মাধ্যমে যে মৃত্যু হুমকি দিয়েছিল তাঁকে গ্রেপ্তার করে হয়েছে। তবে এখনও তাঁর উপর বিভিন্ন কারণে আইনি ছোবল বর্তমান। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে এক সাংবাদিক অশোক পান্ডে সলমনের দেহরক্ষীর বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ তুলে একটি মামলা দায়ের করে ছিলেন। সেই অভিযোগই এবার খারিজ করে দিল বম্বে হাইকোর্টে। এর আগে ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এই মামলার বিচার হলে সেখানে সলমন ও তাঁর দেহরক্ষীর বিরুদ্ধে ফৌজদারি কার্যবিধি শুরু হয়। এরপর হাইকোর্ট সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে গিয়ে দুজনকে আবেদনের সুযোগ দিয়েছিল।
এদিন সলমন ও দেহরক্ষীর বিরুদ্ধেই সেই আবেদন খারিজ করল বোম্বে হাইকোর্ট। ২০১৯ সালে সাংবাদিক আশোক পান্ডে ও তার ক্যামেরাম্যান মিলে সলমন খানের সাইকেল তোলার দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করছিলেন। ঠিক সেই মুহূর্তেই তাঁদের বাধা দিয়েছিলেন সলমনের দেহরক্ষী। সাংবাদিকের দাবি, শুধু বাধাই নয়, রীতিমতো মারধর করা হয় তাঁকে এবং তাঁর দলবলকে। এই ঘটনার পর ডি এন নগর পুলিশে অভিযোগ জানান অশোক। কিন্তু সেখানে তাঁর অভিযোগ নেওয়া হয়নি। এরপর ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে গোপনে অভিযোগ নেওয়া হয়। গত এপ্রিলে মামলাটি হাইকোর্টে ওঠে। তারপর থেকেই দফায় দফায় চলছিল শুনানি।
এবার সেই মামলার রায়ে বলা হয় একজন অভিনেতা হোক বা আইনজীবী, আদালতের বিচারপতি হন বা অন্য কেউ, সবারই ব্যক্তিগত জীবন রয়েছে। তাই বিনা অনুমতিতে কারুর ছবি তোলা উচিত নয়। এছাড়াও বলা হয় ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির বেশ কয়েকটি পদ্ধতি ঠিকভাবে অনুসরণ করা হয়নি। এছাড়াও পুলিশি তদন্তের মধ্যেই বয়ানের ভিত্তিতে আইপিসির ৫০৪ ও ৫০৬ ধারায় সলমনদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছিল। নিম্ন আদালতের সেই রায়ই এবার বাতিল করে দিল বম্বে হাইকোর্ট। সলমন খান এবং তাঁর দেহরক্ষী নওয়াজ শেখের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে বম্বে হাইকোর্ট।