নিজস্ব প্রতিনিধি: বর্তমানে তরুণ-তরুণীদের অনেকেরই নেশা সিনেমা বা সিরিয়ালে অভিনয়ের। কিন্তু মাঝে মধ্যে অভিনয়ের নেশাই ফেলে দেয় তাঁদের বিপাকে। প্রতারকদের নানারকম প্রলোভনে পা দিয়ে অন্য দেশে পাচার হয়ে যান অনেকে, আবার কেউ কেউ খোয়ান লাখ লাখ টাকা। আর মানুষকে বোকা বানিয়ে রমরমা ব্যবসা করছে প্রতারকরা। বড় বড় তারকাদের নাম নিয়ে শিকারকে ফাঁদে ফেলতে বেশিক্ষণ সময় লাগছে না প্রতারকদের। আর এতে সমস্যায় পড়ে যাচ্ছেন তারকারা। ভক্তদের বিশ্বাস হারাচ্ছে। অথচ তাঁরা এই বিষয়ে কিছু জানেই না। হ্যাঁ, সম্প্রতি পরিণীতি চোপড়া থেকে কৃতি স্যাননের নাম জড়িয়েছিল উঠে এসেছিল এমন ঘটনায়।
এবার বলিউড সুপারস্টার অক্ষয় কুমারের প্রযোজনা সংস্থার বিরুদ্ধে কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠল। অক্ষয়ের প্রোডাকশনের অধীনে কাজ দেওয়ার অজুহাতে লাখ লাখ টাকা বাগিয়ে গায়েব হয়েছিল এক প্রতারক। এবার অভিযুক্ত প্রতারক প্রিন্স কুমারকে গ্রেফতার করল পুলিশ। সোশ্যাল মিডিয়ার প্রভাবশালী পূজা আনন্দনি এই ফাঁদে পড়তে চলেছিলেন। তাঁর কাছ থেকে অক্ষয় কুমারের প্রোডাকশন হাউসে কাজের অফার দেওয়ার নামে প্রচুর অর্থ লুঠের পরিকল্পনা করেছিল প্রতারক। তাই বিশ্বাস করেছিলেন সোশ্যাল মিডিয়া প্রভাবশালী। কেউ যদি আপনাকে অক্ষয়ের প্রোডাকশনের কাজ দেওয়ার লোভ দেখায়, ভুলেও এত পরিমাণ তা বিশ্বাস করবেন না। কারণ এটি একটি বড় কেলেঙ্কারি। প্রিন্স কুমার সোশ্যাল মিডিয়া প্রভাবশালী পূজা আনন্দনীকে অক্ষয় কুমারের প্রোডাকশন হাউস কেপ অফ গুড ফিল্মস-এ কাজ পাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। বিনিময়ে কয়েক লাখ টাকা দাবি করেছিলেন।
তিনি বলেছিলেন, নির্ভয়া মামলার উপর একটি চলচ্চিত্র তৈরি হচ্ছে যার জন্য তাকে নির্বাচিত করা হয়েছে। এমনকি জুহু কফি শপ ছাড়াও, পূজা আরও অনেক জায়গায় প্রিন্স কুমারের সঙ্গে তিনবার দেখা করেছিলেন। একবার অমিতাভ বচ্চনের ফটোগ্রাফারকেও তাঁর ছবি তুলতে বলা হয়েছিল। তৃতীয় সভাটি জেডব্লিউ ম্যারিয়টে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। যদিও এর আগেই পুজা টের পেয়ে পুলিশকে জানিয়েছিল, সেখান থেকেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। আসলে, ৩ এপ্রিল প্রিন্স তার মোবাইল থেকে পূজাকে ফোন করে নিজেকে রোহান মেহরা বলে পরিচয় দেন। প্রিন্স পূজাকে জানিয়েছেন যে, তিনি অক্ষয় কুমারের প্রোডাকশন হাউস কেপ অফ গুড ফিল্মস কাজ করেন। তিনি পূজাকে নায়কের প্রোডাকশন হাউসে চাকরিও দেওয়ারও প্রতিশ্রুতি দেন। এরপরই পূজার সন্দেহ হয় এবং প্রোডাকশন হাউসে ফোন করেন। পূজা সব খুলে বলেন এবং রোহন মেহরা সম্পর্কে তথ্য নেন। কিন্তু দেখা গেল এই নামের কোনও ব্যক্তি সেখানে কাজ করে না। এরপরই জুহু পুলিশকে খবর দেন পূজা।
বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে, পুলিশ একটি মামলা নথিভুক্ত করে এবং প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগে প্রিন্স কুমারকে গ্রেফতার করেছে। যশ রাজ ফিল্মস এবং সলমান খান ফিল্মসের পক্ষ থেকে বেশ কয়েকবার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। অনেক সময় মুম্বইয়ের প্রোডাকশন হাউসে কাজ পাওয়ার নামে এমন প্রতারণা করা হয়। অনেক সময় উচ্চাকাঙ্ক্ষী অভিনেতারা এতে লাখ লাখ টাকা হারান।
