নিজস্ব প্রতিনিধি: চলচ্চিত্রে অনবদ্য অবদানের জন্যে গত ২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবসের আগের দিন ঘোষিত হয়েছিল এ বছরের পদ্ম পুরস্কার বিজয়ীদের নাম। নাম ওঠে তেলেগু মেগাস্টার চিরঞ্জীবী কোনিদেলারও। দ্বিতীয়বার ‘পদ্মবিভূষণ’-এ সম্মানিত হন তিনি। ২০০৬ সালে প্রথমবার পদ্মসম্মানে ভূষিত হয়েছিলেন চিরঞ্জীবী কোনিদেলা। এরপর ২০২৪ সালে আবারও তিনি ‘পদ্মবিভূষণ’-এ সম্মানিত হলেন। কয়েক দশক ধরে চলচ্চিত্র মহলে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন মেগাস্টার। প্রায় শ’খানেক ছবি রয়েছে অভিনেতার ঝুলিতে। পদ্ম সম্মানে ভূষিত হওয়ার পর রবিবার তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী রেভান্থ রেড্ডি দ্বারা ফের সম্বর্ধিত হলেন চিরঞ্জীবী। ইভেন্ট চলাকালীন, পুরস্কার হাতে নিয়ে মেগাস্টার চিরঞ্জীবী আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন।
বক্তৃতায় বলেন, “আমার বাড়ির লোকেরা আমাকে জিজ্ঞাসা করেছিল পদ্মবিভূষণ পাওয়ার পরে আমি কেমন অনুভব করেছি, এবং আমি বলেছিলাম যে আমি ভাল অনুভব করেছি। কিন্তু, সত্যি বলতে, পদ্মভূষণ পুরস্কার পাওয়ার পর আমি অনেক বেশি খুশি হয়েছিলাম। এত বছর পর পদ্মবিভূষণে ভূষিত হওয়ায় আমি মোটেও উত্তেজিত ছিলাম না। অবশ্যই, আমি খুশি ছিলাম এবং আমি জানতাম যে আমাকে এই পুরস্কারটি মর্যাদা ও সম্মানের সঙ্গে স্বীকার করতে হবে এবং আমি তা করেছি।”
অভিনেতা আরও বলেন, “আমার হৃদয়কে আনন্দে ভরে উঠেছে। তাই অনেকেই আমাকে অভিনন্দন জানাতে এগিয়ে আসেন। সিনেমা জগতের মানুষ থেকে শুরু করে বিভিন্ন সংগঠন ও অ্যাসোসিয়েশনের লোকজন থেকে শুরু করে রাজনীতিবিদরা এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। এই গত সপ্তাহে আমার উপর যে ভালবাসা বর্ষিত হয়েছিল সেটাই আমাকে পুরস্কার পাওয়ার চেয়ে অনেক বেশি আনন্দ দিয়েছে।” চিরঞ্জীবী আবেগপ্রবণ হয়ে আরও বলেন, “আমার সমর্থক এবং শুভাকাঙ্ক্ষীদের কাছ থেকে আমি যে ভালবাসা পেয়েছি তা আমাকে জীবনে সন্তুষ্ট করেছে। আমার মনে হচ্ছিল এই জীবনটাই এখন যথেষ্ট। এটা অবশ্যই আমার বাবা-মায়ের আশীর্বাদ হবে।” চিরঞ্জীবী কে শেষ দেখা গিয়েছিল মেহের রমেশ পরিচালিত ভোলা শঙ্কর ছবিতে। অভিনেতা পরবর্তীতে বিশ্বম্ভরা নামের ছবিতে দেখা যাবে।